বর্ষপূর্তির দিনে আর্টিজানের জঙ্গিদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর
গুলশানের অভিজাত হলি আর্টিজান বেকারিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গির ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া নিহত এক পাচকেরও প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে। গুলি ও বোমার আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শনিবার দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবিরের কাছে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ।
ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ভিসেরা, রক্ত, প্রসাব, চুল পরীক্ষার প্রতিবেদন আমরা হাতে পেয়েছি। তাতে হামলা চালানোর আগে শক্তিবর্ধক কোনো কিছু সেবন করেনি জঙ্গিরা। গুলি, বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ জুন হলি আর্টিজানে জঙ্গিদের হামলায় নিহত ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের কাছে জমা দেয়া হয়।
গত বছরের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ জনসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি।
পরদিন সকালে রেস্তোরাঁয় জিম্মিদের উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। তবে এর আগের রাতেই জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। অভিযান শেষে যৌথ বাহিনী বিদেশি নাগরিকসহ মোট ১৩ জনকে জীবিত এবং মোট ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। অভিযানে ছয় জঙ্গিও নিহত হয়।
নিহত ২০ জনের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি, একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান, নয়জন ইতালিয়ান, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন।
ঘটনার পর গুলশান থানার পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। পরে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন