বার্সার রোমাঞ্চকর জয়ে মেসির জোড়া গোল

শুরুটা করেছিলেন ফিলিপে কুতিনহো। ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই টটেনহ্যাম হটস্পারের জালে বল পাঠান। তারপর ২৮ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইভান রাকিতিচ। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই এক গোল শোধ করেন টটেনহ্যামের হ্যারি কেইন। এরপরই জ্বলে ওঠেন লিওনেল মেসি। জোড়া গোল করে নিশ্চিত করেন দলের জয়।

বুধবার লন্ডনের ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘বি’ গ্রুপের খেলায় টটেনহ্যামের মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা। আর রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৪-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মেসি বাহিনী।

এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে বসে টটেনহ্যাম। মেসির বাড়ানো বল ধরে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা জর্দি আলবাকে ঠেকাতে ছুটে যান স্বাগতিকদের গোলকিপার হুগো লরিস। ফলে ফাঁকা হয়ে যায় পোস্ট। দ্রুত ডান দিকে কুতিনহোকে পাস দেন আলবা। আর তা প্রতিপক্ষের জালে জড়াতে মোটেও ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার।

আর ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাকিতিচ। মেসি বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের ছোট ডি-বক্সের মধ্যে পেয়ে সুয়ারেজ তা বাড়িয়ে দেন কুতিনহোর দিকে। কুতিনহো দেন রাকিতিচকে। আর সেই বল পেয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ক্রোয়েট। ২-০ গোলে এগিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ কেরে বার্সেলোনা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পোস্টে বাধা পেয়ে দুই দুইবার গোল বঞ্চিত হন মেসি। ৪৭তম মিনিটে ডি-বক্সে মধ্যে থেকে নেওয়া শট বাধা পায় পোস্টে। আর ৫০ মিনিটে আবারও একই বাধায় পড়েন তিনি।

ম্যাচের ৫২ মিনিটে উল্টো একটি গোল শোধ করে দেন হ্যারি কেইন। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে নেলসন সেমেদোকে কাটিয়ে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন ইংলিশ অধিনায়ক।

তার চার মিনিট পর গোলের খাতা খোলেন মেসি। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান আর্জেন্টাইন এই তারকা। ৬৬ মিনিটে এরিক লামেলার গোলে আবারও ব্যবধান কমায় টটেনহ্যাম। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের জোরালো শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এটি আট হাজারতম গোল।

ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে আবার বাড়িয়ে নেন মেসি। জোড়া গোল করে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। দুই ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টেবিলের শীর্ষে আছে বার্সেলোনা।