বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম, ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

দুদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (৭ মার্চ) বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হতেই জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। এতে জ্বালানি তেল ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে উঠে এসেছে।।

সোমবার (৭ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৩৯ ডলার ছুঁয়েছে। ২০০৮ সালের পর এটি ছিলো সর্বোচ্চ। এর ফলে সোমবার এশিয়ার পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে।

এদিকে রোববার আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত সপ্তাহজুড়ে পেট্রোলের দাম ১১ শতাংশ বেড়ে ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যে পেট্রোলের দাম গড়ে প্রতি লিটারে ১ পাউন্ড ৫০ পেনি বেড়েছে বলে জানা গেছে।

শুধু তাই নয়, রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের কারণে গ্যাসের দামও বেড়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে গ্যাসের দাম রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছিল। তবে রাশিয়া আক্রমণ শুরু করার পর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পালে নতুন হাওয়া লাগে।

অবশ্য রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে জ্বালানি তেলের দাম একশ ডলার ছাড়িয়ে যাবে এমন আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে নিউইয়র্কভিত্তিক ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওনাডার বিশ্লেষক অ্যাডওয়ার্ড মোয়া বলেছিলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ হলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০০ ডলার ছাড়াতে কোনো বাধা থাকবে না। তার মতে, ইউক্রেন পরিস্থিতি সম্পর্কিত খবরাখবরের জন্য তেলের বাজার খুবই অস্থির ও সংবেদনশীল থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করে রাশিয়া। সেই সঙ্গে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়াতেই উত্তোলন করা হয়। আর ওই গাসের ওপর ইউরোপ অনেকটা নির্ভরশীল। মূলত ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহে তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বাড়ছে। সূত্র : বিবিসি