বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে মুক্তবুদ্ধি ও জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র এবং একই সঙ্গে জ্ঞান সৃষ্টিরও কেন্দ্র। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হলে গবেষণার প্রয়োজন। আমরা বার বার বলছি গবেষণা করতে হবে। অনেকেই গবেষণা করছেন, কিন্তু গবেষণাকে ইনকিউবেট করা এবং উদ্ভাবনকে কমার্শিয়ালাইজ করা এই পুরো পথটা সম্পন্ন করা হচ্ছে না। তার ফলে গবেষণা করার যৌক্তিকতা থাকছে না।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউনিভার্সিটি অভ্ ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) -এর সপ্তম সমাবর্তনে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র হবে। একইসঙ্গে সেখানে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। আশা করি সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের উন্নয়ন ও সফলতা নিশ্চিত করার স্বার্থে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ সঠিকভাবে মেনে চলবেন। শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণের কোনো ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য পরিহার করবেন। শিক্ষা খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে উদার এবং মানবিক নীতি মেনে শিক্ষাকে মানব সম্পদ উন্নয়নের সহায়ক ভূমিকায় রূপ দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন। তিনি এ সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করবে এবং তাদের প্রতিটি প্রোগ্রাম, ডিগ্রি এক্রিডেট করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বিষয় অবশ্য পাঠ্য হওয়া উচিত। এছাড়া, টেকনিক্যাল এডুকেশনে আরো বেশি জোর দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

শিক্ষায় রূপান্তর জরুরি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, প্রি-প্রাইমারি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য নিজেদেরকে রূপান্তরিত করতে হবে। এখানে মাইন্ডসেটের পরিবর্তন প্রয়োজন, সেটি অ্যাকাডেমিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অভিভাবকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

সমাবর্তন বক্তা ছিলেন কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ইউনিভার্সিটি অভ্ অল্টারনেটিভ এর উপ-উপাচার্য রওনক জাহান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুজিব খান।