ভারতে স্বচ্ছ ও অবাধ ভোটে পাঁচ দফা দাবি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের
‘স্বচ্ছ ও অবাধ’ ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট। গতকাল রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিরোধী জোট। সেই মঞ্চ থেকেই কমিশনের উদ্দেশে পাঁচ দফা দাবির কথা জানায় তারা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, ম্যাচ ফিক্সিং করে ৪০০ আসন পার করতে চাইছে বিজেপি।
বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করার অভিযোগ তুলে এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে গতকাল দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। সমাবেশে বিজেপির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় ‘বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধী। দেশের সব কটি রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনে সমান সুযোগ-সুবিধা পায়, সেজন্য বিরোধী জোটের তরফে কমিশনের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানান তিনি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—লোকসভা ভোট শাসক কিংবা বিরোধী, সব দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা থাকার বিষয়টি সুনিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে আয়কর দপ্তর, ইডি ও সিবিআই যাতে বিরোধীদের প্রতি দমনমূলক পদক্ষেপ নিতে না পারে, সেদিকে কমিশনকে নজর রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
বিরোধী জোটের তরফে ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। বিরোধী দলগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এসব বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৮০০ কোটি রুপি চেয়ে আয়কর দপ্তর নোটিশ পাঠিয়েছিল কংগ্রেসকে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩০ মার্চ আরো তিনটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে।
বিরোধীদের পাঁচ দাবির মধ্যে এসেছে নির্বাচনি বন্ডের প্রসঙ্গও। বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনি বন্ডের মাধ্যমে পাওয়া চাঁদার বিনিময়ে অন্যায় করার অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের আবেদন জানানো হয়েছে। বিজেপি ‘প্রতিহিংসার বশে’ কীভাবে বিরোধী দল ও বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনছে, তা-ও ঐ তদন্ত কমিটির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদের কণ্ঠ রোধে সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও অভিযোগ ইন্ডিয়া জোটের।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ম্যাচ ফিক্সিং ছাড়া ৪০০ আসন পার সম্ভব নয়। লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসন পার করতে আগে থেকেই আম্পায়ার কিনে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ইভিএম, ম্যাচ ফিক্সিং, সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমকে চাপ না দিলে ১৮০টির বেশি আসন জেতার ক্ষমতা নেই বিজেপির। ক্রিকেটে যখন খেলোয়াড়দের টাকা দেওয়া হয়, আম্পায়ারদের চাপ দেওয়া হয়, অধিনায়কদের ম্যাচ জেতার জন্য বা হারার জন্য হুমকি দেওয়া হয়, সেটাকে বলে ম্যাচ ফিক্সিং। লোকসভা নির্বাচনের ম্যাচের আগে আম্পায়ারদের কিনে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আমাদের দলের খেলোয়াড়দের ম্যাচের আগে গ্রেফতার করানো হয়েছে। —আনন্দবাজার পত্রিকা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন