ভোলার বোরহানউদ্দিনে সেই বৃদ্ধার কষ্টের জীবনে সুখের ছোঁয়া
অভাব, অনটনে কেটেছে জীবনের দীর্ঘ সময়। সন্তানরাও চলে গেছেন তাঁকে ফেলে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এ বৃদ্ধার দুঃখ-দুর্দশা ঘোচাতে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। নতুন ঠিকানায় হাসি-আনন্দে সময় কাটছে এখন তাঁর।
ভোলা বোরহানউদ্দিনের ৪ নং কাচিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মোসাম্মত ছহুরা বিবি(৭০) নামের অসহায় এক বৃদ্ধাকে একটি নতুন ঘরসহ তাঁর খাদ্য ও চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রব কাজী।
গত ২৯ আক্টোবর সকালে স্থানীয় সংবাদকর্মিদের সাথে নিয়ে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রব কাজী বৃদ্ধার জীবনচিত্র দেখতে সরেজমিন যান। তিনি উপস্থিত সংবাদকর্মি ও এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছহুরা বিবির বসবাসের জন্য প্রথমে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। যার কাজ আগামীকাল ৩০ অক্টোবর ২০২১ থেকে শুরু হবে। ঘর নির্মাণের সম্পূর্ণ ব্যয় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেবেন। ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বেঁচে থাকার লক্ষ্যে খাদ্য ও বসস্থান জরুরি। এই বৃদ্ধাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
জানা যায়, এই বৃদ্ধা নারী প্রায় ৪০ বছর ধরে সঙ্গীহীন! আপনজন বলতে এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে । তারা কেউ এই বৃদ্ধা মাতার খোঁজ খবর রাখে না। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের মৌলিক চাহিদা আছে। তার মধ্যে দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য এবং বাসস্থান। বর্তমানে এই বৃদ্ধার দুইটার কোনটাই নেই। তার বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য এবং বাসস্থান খুবই প্রয়োজন। এই বৃদ্ধা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে ভিক্ষা করে তার জীবিকা নির্বাহ করে। দিনশেষে মাথার উপরে ছায়াটাও ঠিক নেই।
ছহুরা বিবি বলেন, ‘আমি আজ অনেক খুশি, চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করি তিনি যেন অনেক দিন বাঁচেন।’
জীবনের এমন করুণ পরিণতির খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে অসহায় বৃদ্ধার পুনর্বাসনে এগিয়ে এলেন মানবিক এই চেয়ারম্যান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন