মঠবাড়িয়ার ধানিসাফায় ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ
৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা ইউনিয়নে এবার সম্ভাব্য ৫ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন পেতে শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট দোয়া প্রার্থনা ও দলীয় নেতাদের সুদৃষ্টি পেতে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
২০১৬ সালের ২২ মার্চের ইউপি নির্বাচনে ২ নং ধানিসাফা ইউনিয়নের সাফা ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট কাজী জিয়াউল বাসেতের নির্দেশে বিজিবি ও পুলিশ গুলি চালায়।নিরাপত্তা রক্ষায় চালানো এ গুলিতে ৫ জন মারা যায়। বিবিসি সহ দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় ধানিসাফার এ ঘটনাটি প্রকাশিত হয়।এদিক থেকে কোন নির্বাচন আসলেই ধানিসাফার নাম আলোচনায় আসে।
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি এবারের নির্বাচনে ধানিসাফা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ৫ নেতা – কর্মী দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
ধানিসাফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ তালুকদার নৌকা প্রতিক নিয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে আগ্রহী।ইতোমধ্যে তিনি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মী সভা ও উঠান বৈঠক করেছেন।
মোঃ ফারুক মিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় মনোনয়নের আশাবাদী। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মিয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।তার বাবা প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ ওয়াহাব মিয়া ধানিসাফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে মিয়া ফারুক এখন মঠবাড়িয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি।
ধানিসাফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য রয়েছে। একদিকে মিয়া ফারুক নিজেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে দাবি করেন অন্যদিকে বাচ্চু বেপারীও নিজেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলে দাবি করেন।
আরেকজন সম্ভাব্য প্রার্থী ইকবাল মুন্সী ধানিসাফা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বলে দাবি করেন। তবে আওয়ামী লীগের একাংশের বক্তব্যে তিনি বর্তমানে দলীয় কোন পদ পজিশনে নেই বলে জানান।ইতোপূর্বে তিনি কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই।ইকবাল পারিবারিকভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌসের ভাগ্নে।
সোহেল লস্কর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি।স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকেই তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। অল্প সময়ের মধ্যেই রাজনৈতিক পদ পজিশনে উঠে আসেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম সাফা ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।২০১৬ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে নৌকার প্রার্থী হারুন চেয়ারম্যানের নিকট পরাজিত হন।রাজনীতিতে তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য।ছাত্র জীবনে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগ ও কলেজ ছাত্র লীগের সদস্য ছিলেন।তবে স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান,রফিক আওয়ামী লীগের কোন পদে নেই।
উল্লেখ্য, এই ইউনিয়নে বিগত দিনে সুনামের সাথে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে প্রয়াত হয়েছেন মোশারেফ হোসেন আকন, জব্বার তালুকদার, আঃ ওয়াহাব বেপারী,নজর আলী চেয়ারম্যান, আঃ মজিদ মুন্সী এবং ফজলুল হক।
পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট আঃ হাকিম বলেন,ধানিসাফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি মিয়া মোঃ ফারুক।বাচ্চু বেপারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলতে ওখানে কেউ নেই।দলের পদ পদবী নিয়ে বিশৃঙ্খলা করার কোন সুযোগ নেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন