এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার প্রথম দিনে ৬ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার প্রথম দিনে ৬ ভুয়া পরীক্ষার্থী ধরা পড়েছে। আটককৃতদের থানা হাজতে রেখে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কামিল মাদ্রাসা থেকে শিক্ষকরা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আটককৃত ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীরা তাফালবাড়িয়া হাচানিয়া আলিম মাদ্রাসার ভুয়া পরীক্ষার্থী সেজে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী না থাকায় এমপিও চালু রাখতে অসদুপায় অবলম্বন করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমান।

খলিলুর রহমান এলাকায় হরিন খলিল নামে পরিচিত। অফিস আদালতে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ হলে হরিনের মাংস দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করায় তার নাম হয়েছে হরিন খলিল।

হরিন খলিলের মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষা দিতে এসে ভুয়া পরীক্ষার্থীর অভিযোগে আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে খেঁতাছিড়া গ্রামের ইয়াছিনের পুত্র মোঃ তোহা, মঠবাড়িয়া সদরের জাহাঙ্গীরের পুত্র মোঃ আরাফাত, তাফালবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র মোঃ সানাউল্লাহ, ওই একই গ্রামের বাদশা মিয়ার পুত্র নাঈম, নলী গ্রামের জাকির হোসেনের পুত্র হাসিব এবং তাফালবাড়িয়া গ্রামের আবু তাহের।

গ্রেপ্তারকৃতদের বক্তব্য, তাফালবাড়িয়া হাচানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমানের প্রলোভনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে তারা বাধ্য হয়।

আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা ভুয়া পরীক্ষার্থীরা ২০২১ সালের দাখিল পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেছিল।

ভুয়া পরীক্ষার্থীদের সনাক্ত ও আটকের সময় কেন্দ্র সচিব – দাউদখালী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আঃ কুদ্দুস, ট্যাগ অফিসার – উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এবং এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত উপস্থিত ছিলেন।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের আগামীকাল সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।