‘মন্ত্রিসভা কেমন হবে তা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব ব্যাপার’
নতুন মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখবেন। এটা একেবারেই তার নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়। মন্ত্রিসভার বিষয়ে এ জবাবটা আমি দিতে পারছি না। এসব বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ১০ তারিখের মধ্যে সব হয়ে যাবে।
বুধবার সচিবালয়ে তার নিজ দফতরে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলে।
বিরোধী দল কারা হবেন এমন প্রশ্নর জবাবে কাদের বলেন, অপজিশনতো আছেই। তারাতো (জাতীয় পার্টি) আছে। গতবার ছিল ঐকমত্যের সরকার। তবে এবারও ঐক্যফ্রন্টের সাতজন আছেন। তারা বলেছেন শপথ নেবেন না। তাদের মধ্যে আবার দুইজন গণফোরামের আছে। কাজেই তারা কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটা বিবেচনার বিষয়।
জাতীয় পাটিং বলেছে তারা সরকারে থাকবে না তাহলে কীভাবে এবার ঐকমত্যের সরকার হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আলোচনার বিষয় আছে। এখনই কিছু পরিষ্কার করে বলা যাবে না।
‘আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে ইশতেহারে যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে সেগুলো পূরণ করা। প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়নই হবে আমাদের বড় কাজ,’ যোগ করেন কাদের।
কেবিনেট বড় হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশাল বিজয়ের সঙ্গে বিশাল প্রত্যাশা জড়িত। এখন সেটা বলা যাবে না। মন্ত্রিসভা বড় হবে নাকি ছোট থাকবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এটা প্রধানমন্ত্রীর ইখতেয়ার।
‘ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ীদের শপথ নেওয়া উচিত। জনগণ তাদেরকে বিজয়ী করেছে, তাদের উচিত জনগণের রায়কে সম্মান করা। যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা শপথ নেবেন না এটা জনগণের রায়কে অসম্মান করা। সাত জনও তো ভাল ভূমিকা রাখতে পারে সংসদে, যোগ করে কাদের।
ডক্টর কামাল বলেছেন তারা আইনের আশ্রয় নেবেন এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের আওয়াজতো আমরা দশ বছর ধরে শুনছি। এবার যদি তারা ভিজিবল আন্দোলন করে তাহলে সেটা আমরাও আন্দোলনের মাধ্যমে মোকাবেলা করবো। আর যদি তারা আইনি পদক্ষেপে যায় তাহলে সেটা সেই প্রক্রিয়ায়ই মোকাবেলা করবো। আর ভায়োলেন্স করে তাহলে তা প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
নোয়াখালীতে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় এক নারীকে ধর্ষণের বিষেয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আছে। আমি এটা নিয়ে পুলিশের আইজির সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
নোয়াখালীতে বিএনপির ভাল অবস্থান থাকা সত্বেও এবারের নির্বাচনে একচেটিয়া আওয়ামী লীগের জয় এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এক সময় তো নৌকারও খারাপ সময় আসতে পারে। এটা হতেই পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন