মহান দেশপ্রেমিক কমরেড মনি সিংহ
।। এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।।
বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের শোষণমুক্তির লড়াই-সংগ্রামের পুরোধা কমরেড মণি সিংহ। কমরেড মনি সিংহ ছিলেন এদেশের গণমানুষের নেতা। দেশের স্বাধীনতা অর্জন, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। সারাজীবন তিনি লড়াই করে গেছেন এদেশের খেটে খাওয়া-মেহনতী মানুষের জন্য।
বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট আন্দোলনের প্রাণপুরুষ মনি সিংহ মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং তাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারাজীবন সংগ্রাম পরিচালনা করে গেছেন। শান্তি, গণতন্ত্র ও সমাজ প্রগতির সংগ্রামে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে মৈত্রী সুদৃঢ়করণের ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মণি সিংহকে সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকার ‘অর্ডার অব ফ্রেন্ডশিপ অব পিপলস’ পদকে ভূষিত করে। কেবল সোভিয়েত ইউনিয়ন নয় বুলগেরিয়া এবং চেকোশ্লোভাকিয়া সরকারও তাঁকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের শাসন-শোষণের হাত থেকে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে তিনি ছিলেন অন্যতম বিপ্লবী। পাকিস্তানের স্বৈর শাসন থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের অন্যতম মহানায়কও ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি শোষণের অবসান ঘটিয়ে একটি সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করেছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কমরেড মণি সিংহ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলার প্রতি মণি সিংহ ছিলেন সবসময় অবিচল। তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা সকল স্তরের মানুষকে আকৃষ্ট করতো। গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার লেনিনীয় নীতি তিনি মেনে চলতেন প্রতি পদে। এটা করতে গিয়ে কখনো কখনো মানুষ তাঁকে ভুল বুঝেছে।
কমরেড মণি সিংহ উপমহাদেশ তথা এ দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলন ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে শুধু একটি নামই নয় বরং তিনি হচ্ছেন এই আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এক অগ্রসেনানী, মহান দৃষ্টান্তস্থাপনকারী এক উজ্জল নক্ষত্র। সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের শোষণ-লুন্ঠন ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে শ্রমিক, কৃষক, জনগণকে মুক্তি অর্জন করতে হলে শ্রমিক শ্রেণীর পার্টির বিপ্লবী নেতৃত্ব ও নেতা ভিন্ন তা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে একজন দৃঢ়, আপোষহীন, মার্কসবাদী-লেনিনবাদী, নিঃস্বার্থ-নিবেদিত প্রাণ, মহান বিপ্লবী নেতা হিসেবে কমরেড মণি সিংহের মত নেতার আবশ্যিকতা, প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা সামনে আসে। সমগ্র বিশ্বব্যাপী ও দেশব্যাপী অগ্নিগর্ভ বস্তুগত বিপ্লবী পরিস্থিতি বিদ্যমান। সুতরাং সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করা অগ্রণী কর্তব্য।
কমরেড মণি সিংহ ১৯০১ সালের ২৮শে জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা ছিলেন নেত্রকোণার সুসং দুর্গাপুর এলাকার জমিদার বংশের কন্যা। জমিদার বংশের কণ্যার পুত্র হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের মুক্তির আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।
১৯২১ সালে মণি সিংহ মহাত্মা গান্ধীর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শরিক হন। ১৯২৫ সালে তিনি বামপন্থী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ হন। এসময় তিনি ময়মনসিংহ থেকে কলকাতায় আসেন। কলকাতার মেটিয়াবুরুজে শ্রমিক আন্দোলন সংগঠিত করেন। এজন্য ১৯৩০ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাঁচ বছর পর ছাড়া পান, তবে আরো কিছুদিন অন্তরীণ হয়ে থাকতে হয়।
তিনি সুসংয়ে টঙ্ক প্রথার বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন সংগঠিত করেন। আবারো তিনি গ্রেপ্তার হন, তবে গণ দাবির মুখে ১৯৩৭ সালে মুক্তি পান। ১৯৩৮ সালে মণি সিংহ আরো কয়েকজনের সহযোগিতায় ময়মনসিংহ জেলায় কমিউনিস্ট পার্টি গঠন করেন। পার্টির সাংগঠনিক তৎপরতার ফলে সামন্তবাদবিরোধী আন্দোলনে কৃষকেরা ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হয়। কৃষকদের এই আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৪৬ সালে তেভাগা আন্দোলন সংগঠিত হয়; আর তারপরে ১৯৪৮ সালে হয় নাচোলের বিদ্রোহ।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠিত হওয়ার পর কমিউনিস্ট পার্টি বিপ্লবমুখী নীতি গ্রহণ করে। পার্টির নেতা ও কর্মীদের ব্যাপকহারে গ্রেপ্তার শুরু হয়। মণি সিংহ আত্মগোপন করতে বাধ্য হন। তিনি পার্টি পুনর্গঠনের জন্য কাজ করতে থাকেন। পঞ্চাশের দশকে তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। যুক্তফ্রন্ট সরকারের সময় অল্প কিছুদিন তিনি আত্মগোপন অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। পাকিস্তান আমলের অনেকটা সময়ই তাঁকে আত্মগোপনে থাকতে হয়; এর মাঝেই কয়েকবার তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছে। তবে এই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বামপন্থী সংগ্রাম ও গণআন্দোলন সংগঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৬৭ সালে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ সময় পড়ে তিনি মুক্তি পান ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় তিনি রাজশাহী জেলে বন্দী ছিলেন। এসময় তিনি জেল থেকে পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে বামপন্থীদের সংগঠনে ও সমন্বয় সাধনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ দেয়ার জন্য গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ছিলেন মণি সিংহ। এই পরিষদের প্রধান ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। আরো ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ও ও মনোরঞ্জন ধর।
১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের আদর্শে উদ্বুদ্ধ কমরেড মণি সিংহ ১৯২৫ সালে প্রখ্যাত বিপ্লবী গোপেন চক্রবর্তীর সাথে আলোচনার পর মার্কসবাদ-লেনিনবাদকে আদর্শরূপে গ্রহণ করেন। কমরেড মণি সিংহ ১৯২৮ সাল থেকে কমিউনিস্ট পার্টির সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে নিজেকে বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে উৎসর্গ করেন। এ সময় তিনি কলকাতায় শ্রমিক আন্দোলনে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে থাকেন। ১৯৩০ সালের ৯ মে তিনি গ্রেপ্তার হন। ১৯৩৫ সালে জেল থেকে মুক্তি পেলেও নিজ গ্রাম সুসং দুর্গাপুরে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়। এ সময় কৃষক-খেতমজুরদের পক্ষ নিলে নিজ মামাদের জমিদার পরিবারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ তৈরি হয়। পাটের ন্যায্য মূল্য দাবি করে কৃষকদের পক্ষে ভাষণ দিলে তাঁর দেড় বছরের জেল হয়।
১৯৩৭ সালে জেল থেকে বেরিয়ে এলে পার্টির সদস্য বলে তাকে জানানো হয়। এরপর দুর্গাপুরে মায়ের সাথে দেখা করে কলকাতার শ্রমিক আন্দোলনে ফিরে যেতে চাইলেও, এলাকার মুসলমান কৃষক ও গাড়ো হাজং প্রভৃতি আদিবাসী মণি সিংহকে ‘টঙ্ক প্রথা’র বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য বারবার অনুরোধ করতে থাকেন। এরপর মণি সিংহ সর্বতোভাবে টঙ্ক আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করেন এবং কালক্রমে তিনি এ আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ১৯৪১ সালে মণি সিংহকে আবার গ্রেপ্তার করে ১৫ দিন আটক রাখা হয়। ছাড়া পেয়ে তিনি পরিস্থিতি বুঝে আত্মগোপনে চলে যান।
১৯৪৪ সালে মণি সিংহ সারা বাংলার কৃষাণ সভার প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৫ সালে নেত্রকোণায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কৃষাণ সভার ঐতিহাসিক সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মণি সিংহ ছিলেন সম্মেলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক। ১৯৪৭ সালের আগে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম করতে গিয়ে কমরেড মণি সিংহকে অসংখ্যবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেল-জুলুম-নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ণ গণতন্ত্র ও শোষণমুক্ত সমাজের আদর্শকে যাঁরা সামনে নিয়ে এসেছেন, মণি সিংহ তাঁদের একজন। আর এ কাজটি করতে গিয়ে তাঁর ওপর নেমে আসে পাকিস্তান সরকারের দমন-নির্যাতন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। পাকিস্তান হওয়ার পর থেকে প্রায় ২০ বছর তিনি আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ছিল এবং আইয়ুব সরকার তাঁকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। ১৯৫১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে তিনি আত্মগোপন অবস্থায় পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সম্মেলনে পুনরায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৬৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টির চতুর্থ সম্মেলনে (যেটাকে পার্টির প্রথম কংগ্রেস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল) তিনি জেলে থাকাকালীন সময় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৯ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের চাপে অন্যান্য রাজবন্দীর সাথে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। এ বছর ২৫ মার্চ পুনরায় সামরিক আইন জারি হলে তিনি জুলাই মাসে আবার গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীকালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় অনেক নেতাকে মুক্তি দিলেও, ইয়াহিয়া সরকার কমরেড মণি সিংহকে মুক্তি দেয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বন্দীরা রাজশাহীর জেল ভেঙ্গে তাকে মুক্ত করেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন-সাহায্য-সহযোগিতা আদায়ে কমরেড মণি সিংহের অবদান ছিল অবিসংবাদিত। তিনি ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনী গড়ে তুলে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।
স্বাধীনতার পর কমরেড মণি সিংহ পূর্ণ গণতান্ত্রিক এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে সোচ্চার হন। ’৭৩ সালে অনুষ্ঠিত সিপিবির দ্বিতীয় কংগ্রেস এবং ’৮০ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় কংগ্রেসের মণি সিংহ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর কমিউনিস্ট পার্টি আবার বেআইনি ঘোষিত হয়। জেনারেল জিয়ার সামরিক শাসন চলাকালে ’৭৭ সালে মাঝামাঝিতে ৭৭ বছর বয়সী মণি সিংহ আবার গ্রেপ্তার হন। জিয়ার শাসনামলে তাকে ৬ মাস কারাগারে অন্তরীণ থাকতে হয়। ৮৪ বছর বয়স পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে পার্টির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
কমরেড মণি সিংহের ৩০তম প্রয়ান দিবস এমন সময় যখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত, দ্বন্দ্ব-সংঘাত; সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ-বিগ্রহ, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি ও উত্তেজনা; শ্রমিকশ্রেণি ও জনগণের আন্দোলন-সংগ্রাম, বিদ্রোহ-বিপ্লব; করোনা পরিস্থিতিসহ নানান রকমের তোলপাড় চলছে। যখন বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থার কারণে কোটি কোটি মানুষের আক্রান্ত হওয়া ও লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু; করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সামগ্রীর অপ্রতুলতা; ডাক্তার-নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ ‘সম্মুখযোদ্ধা’দের নিরাপত্তাহীনতা; প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি; ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী তীব্র প্রতিযোগিতা; তাদের আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ভ্যাকসিনকে ব্যবহার ও মুনাফার লক্ষ্যে ভ্যাকসিন বাণিজ্যের নগ্নতা ফুটে উঠছে।
কমরেড মণি সিংহের ৩০তম প্রয়ান দিবসে শপথ হোক শ্রমিক-কৃষক-জনগণের মুক্তির সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষে দুর্নীতিবাজদের প্রতিরোধ করার। শোষিত-বঞ্চিত শ্রমিক-কৃষক-জনগণের মুক্তির সংগ্রামে মহান দেশপ্রেমিক কমরেড মণি সিং-এর জীবন আমাদের সংগ্রামের অনুপ্রেরনা যোগায়। মনে রাখতে হবে, দেশের বর্তমান সংকট কাটাতে রাজনীতির আদর্শবাদী ধারাকে অগ্রসর করতে হবে। কমরেড মণি সিংহের আদর্শ আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের পথ দেখায়।
[লেখক : রাজনীতিক ও কলাম লেখক, মহাসচিব, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ও আহ্বায়ক, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন]
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন