বন্ধু সমাজের ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ পালন

দেশ ও মানব কল্যাণে করতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অত্যন্ত জরুরি

দেশ ও মানব কল্যাণে কাজ করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লাহর নির্দেশ পালনে এবং দেশ ও মানব কল্যানে কাজ করার জন্য মানুষজাতির পক্ষে একযোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে পৃথিবীতে একটা বিশেষ দিবস থাকা অত্যাবশ্যকীয়। সেই বিশেষ দিবসটি হওয়া উচিৎ ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’। যার জন্য বছরের শেষ দিনটিই যথাযথ।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলস্থ আইডিইবি ভবনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ’র আয়োজনে ৩১ ডিসেম্বর দিনটি ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ হিসেবে পালন নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

সংগঠনের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীবের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ চৌধুরী, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মঞ্জুরুল হক শিকদার, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিশিষ্ট আইনজীবী এড. সুলতান আহমেদ খান, মানবাধিকার সংগঠক মো. মঞ্জুর হোসন ঈসা, কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহম্মদ খান, আর্ন্তজাতিক প্রবাসী মানবাধিকার নেতা এইচএম মনিরুজ্জামান, এএইচআরএ’র মহাসচিব আজম খান, সাংবাদিক নেতা ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে টিমুনি খান।

তারা বলেন, মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের মূল লক্ষ্য। হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দের মিশ্রণে স¤প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ বছর থেকে মহান আল্লাহর আদেশ পালনে পৃথিবীর সূচনায় বাংলাদেশ হতে ৩১ ডিসেম্বর দিনটি ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ হিসেবে পালন করবে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ। পাশাপাশি দেশবাসীকেও ৩১ ডিসেম্বর দিনটি ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ হিসেবে পালন করার আহ্বান জানিয়ে এফ. আহমেদ খান রাজীব বলেন, আগামী বছর থেকে দেশ ও মানব কল্যানে কাজ করার জন্য এই ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’-এ দেশবরেণ্য ৫০ জন ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা সম্মাননা পদক উপহার দেয়ার প্রত্যাশাও জ্ঞাপন করেন ।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দিবসের ন্যায় প্রতি বছর ২৩ নভেম্বর দিনটি ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছি এবং বাংলাদেশসহ পৃথিবীবাসীকে পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এসময় তিনি বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতাসহ জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান অথবা জাতীয়করণ করার জন্য শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সকল নীতি-নির্ধারক মহোদয়গণকে অনুরোধ জানান।