মাদারীপুরের রাজৈরে চুরির অপবাদে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার-১
মাদারীপুরের রাজৈরে কথিত চুরির অভিযোগে এক ফল ব্যবসায়ীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পাশবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। রবিউল শেখ নামের ব্যবসায়ীকে তার দোকান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুইদিন আটকে রেখে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় রাজৈর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
গতকাল শনিবার নির্মম এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। সেই সাথে অভিযুক্তদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। এরইমধ্যে রাজৈর থানা পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত সুমন শেখকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত সুমন রাজৈর উপজেলার ঘোষালকান্দি গ্রামের মৃত ফজলু শেখের ছেলে।
জানা গেছে, মধ্যযুগীয় কায়দায় ব্যবসায়ীর ওপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। ফল ব্যবসায়ী রবিউল শেখ প্রচন্ড ব্যাথার যন্ত্রনায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। তিনি ভুলতে পারছেন না নির্মম নির্যাতনের সেই কথা। ভুক্তভোগী রবিউল শেখ (৩০) রাজৈর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ঘোষালকান্দি এলাকার মৃত খোকন শেখের ছেলে। তার টেকেরহাট বন্দর এলাকায় ‘মায়ের দোয়া ফল ভান্ডার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, কথিত চুরির অভিযোগ এনে বুধবার রাতে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রবিউল শেখকে। পরে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার হরিশ্চর এলাকার একটি ঘরে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দার উলঙ্গ করে পাশবিক নির্যাতন চালায় ৪-৫ জন সুবিধাবাদী লোক। বিভিন্নভাবে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ রবিউলের।
স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। শুক্রবার রাতে রবিউলকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শনিবার টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত সুমন শেখ জানায়, আমার মামার গ্যারেজ থেকে ইজিবাইক চুরি হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে রবিউলকে অন্যান্য লোকের সাথে আমিও জিজ্ঞাসাবাদ করি। এসময় আমার গ্রামের সম্মান রক্ষার্থে অন্যান্যদের সাথে আমিও কলার ডগা দিয়ে দুটি বারি দেই।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হামিদা আক্তার বলেন, রবিউলের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তার অবস্থা স্থীতিশীল। রবিউলের শরীরে মারধর ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, এরই মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সুমন শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের ধরতে চলছে অভিযান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন