কী ঘটেছিল ইন্দোনেশিয়ার সেই স্টেডিয়ামে

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে এ পর্যন্ত ১৭৪ হন নিহত এবং আরও ১৮০ জন আহত হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ফুটবল ম্যাচে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে একটি। এই ঘটনার পর ফুটবল ম্যাচগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।

ইন্দোনেশিয়ার প্রধান নিরাপত্তামন্ত্রী মাহফুদ এমডি জানান গতকাল শনিবার রাতে ওই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন। তার কথার সত্যতা পাওয়া যায়।

ওই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৩৮ হাজার হলেও সেখানে শনিবার রাতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৪২ হাজার দর্শক। মর্মান্তিক এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়ার ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকরা ঢুকে পড়েন মাঠে।

এরপর পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়তে শুরু করে। এ সময় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে এবং দমবন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানায় পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধান নিকো আফিনতা। তিনি আরো বলেন, ‘চৌত্রিশজন স্টেডিয়ামের ভেতরে এবং বাকিরা হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছেন।

’নিকো আফিনতা আরও জানান, সবাই একটি পয়েন্ট দিয়েই বের হওয়ার চেষ্টা করে। ফলে প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে অক্সিজেনের একপর্যায়ে তারা নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রাণহীন দেহগুলো ফ্লোরে পড়ে আছে। ঘটনাটির পর দেশটির শীর্ষ ফুটবল লিগ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা জানায়, খেলার ম্যাচগুলোতে পুলিশের টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা উচিত নয়।