মেয়র শেখ রকিবের অক্লান্ত পরিশ্রমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে গোপালগঞ্জ পৌরসভায়
উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপালগঞ্জ পৌরসভার চিত্র। সেই সঙ্গে বদলাচ্ছে পৌরবাসীর জীবনমান। বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণ, রাস্তাঘাট পাকা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত, মশা নিধন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং শহর দূষণ রোধকরণ সহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে পৌরসভায়।
ইতোমধ্যে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে পৌরবাসী। সরকারের দিকনির্দেশনায় মেয়র শেখ রকিব হোসেনের আন্তরিকতা ও কর্মদক্ষতার কারণে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সারাদেশের ন্যায় গোপালগঞ্জে যুগোপযোগী উন্নয়ন হচ্ছে বলে মনে করছেন পৌরবাসী।
চলতি বছরের ১৫ জুন প্রতিদ্বন্ধীর ১০জন মেয়র প্রার্থীর পূর্ণ সমর্থনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ রকিব হোসেন। মেয়র নির্বাচিত হয়েই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গোপালগঞ্জ জেলা শহরকে আধুনিক, নান্দনিক, দূষণমুক্ত এবং উন্নত পৌরসভা গড়তে রাত-দিন নিরলস পরিশ্রম করছেন।
গোপালগঞ্জ পৌর অফিস সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মেয়র শেখ রকিবের দিকনির্দেশনায় পৌরসভায় বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রতিনিয়ত কাউন্সিলিং, ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ওয়ারেশ সনদপত্র, নাগরিক সনদপত্র, জন্ম-মৃত্যু সনদপত্র, অভিভাবকের আয়ের সনদ, জিআরসি সেলের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে জনগণকে সেবা সম্পর্কে অবগত ও সহায়তা করা, পৌরসভার প্রতিটি কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য নগর সমন্বয় কমিটি, ওয়ার্ড কমিটি, সিবিও এবং স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। গ্রাম আদালত গঠনের মাধ্যমে এলাকার সৃষ্ট জমি-জমা ও কোর্ট থেকে আসা কেসের নথি এবং অন্যান্য বিরোধ মীমাংসা সহ আইনজীবী নিয়োগ চলমান রয়েছে। প্রতিদিন এসব সমস্যা সমাধানে মেয়র শেখ রকিব হোসেন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান এবং তাদের উদ্বুদ্ধ সমস্যা শুনে তার গ্রহণযোগ্য সমাধান দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
সরজমিনে জানা গেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুপার সিলেকশন মেয়র শেখ রকিব হোসেন গোপালগঞ্জ পৌরসভাকে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সংবলিত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিকল্পিত নগর অবকাঠামো, আর্থ-সামাজিক ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশসহ ডিজিটাল পৌরসভা গড়ার কাজ শুরু করেছেন। নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে বরাদ্দকৃত জিআর চাল, নগদ অর্থ প্রদান, গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ, শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত, শীতবস্ত্র, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে নারীদের স্বাবলম্বী করতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা, শিশুদের মাঝে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
দীর্ঘ ৬৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত পৌরসভার পাঁচুড়িয়া খালের সাথে মধুমতি নদীর পুন:সংযোগ হয়েছে মেয়র শেখ রকিবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। এতে যৌবন ফিরে পেয়েছে জলাবদ্ধ খালটি। শত কোটি ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঘোনাপাড়া হতে গোপালগঞ্জ সদরে রাস্তা সংস্কার ও প্রশ্বস্থ সহ পর্যাপ্ত দিক নির্দেশক, রোড স্টিট লাইট, গাইড পোষ্ট, সাইন সিগনাল স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এতে সাধারণ জনগণের যাতায়াত ভোগান্তি হ্রাসের পাশাপাশি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে তারা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে চৌরঙ্গী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে ধারণ করে রাখতে তৈরি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল। মেয়রের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় গোপালগঞ্জ পৌরসভার ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের জন্য ১৫ কোটি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট। যে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য থেকে উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস ও জৈব সার। পুরাতন ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ যানবাহন রোধ করে গোপালগঞ্জ শহরকে দূষণমুক্ত রাখতে পরিবেশ বান্ধব যানবাহন ব্যবহারে সচেতনা সহ নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শহরের নবীন বাগে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর মায়ের নামাঙ্কিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সুষ্ঠু চিকিৎসার পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন মেয়র শেখ রকিব হোসেন। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে ওই মেডিকেল কলেজের উন্নয়নের কাজ। এসকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গোপালগঞ্জ শহর নব-যৌবনে রূপ নিয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে নাগরিক সুবিধা। গোপালগঞ্জে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পৌরবাসীর সার্বিক সহায়তাও চেয়েছেন মেয়র শেখ রকিব হোসেন।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘সারাদেশের মতো গোপালগঞ্জ শহরে উন্নয়নের গনজোয়ার বইছে। পৌরসভার শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তা, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ বহুমুখী উন্নয়নে মেয়রের গুরুত্ব অপরিসীম। পৌরবাসীর মৌলিক চাহিদা বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুপেয় পানি নিশ্চিতকরণে মেয়রের অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়।’
এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শহরের পাড়া-মহল্লায় ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণ, প্রটেকশান ওয়াল, আরসিসি রাস্তা, হাট-বাজার সংস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসন, মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, মন্দির, শ্মশান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন মেয়র সাহেব। পৌরসভার বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে পৌর নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান ও সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। গোপালগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের অপূরণীয় স্বপ্নগুলো ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হতে শুরু হয়েছে।’
মেয়র শেখ রকিব হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং গোপালগঞ্জবাসী যে আস্থা রেখে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন, সে আস্থা ও বিশ্বাস মনে-প্রাণে ধারণ করে জনবান্ধব, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব, আলোকিত এবং পৌরবাসীর উন্নত অবকাঠামোগত নাগরিক জীবন গড়ে তোলার জন্য রাতদিন কাজ করছি। পৌরসভার উন্নয়নের পাশাপাশি দলকে সুসংগঠিত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমরণ কাজ করে যাবেন বলেও তিনি জানান।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন