যশোরের সাত মাইল পশুহাট পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুর হাট পরিদর্শন করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদার, বিপিএম(বার), পিপিএম।
(২৭শে জুন) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী বাগআঁচড়া সাত মাইল পশুরহাট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এবং তারা বেশ কয়েকটি কোরবানীর পশুর দামদর জানেন। পশুর হাটের ইজারাদার ক্রেতা এবং বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, পশুর হাটের সরকারি নির্দেশনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা বিধান সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশ কন্টোল রুম ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা ও তদারকি করেছি।
জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদার বলেন, বাগআঁচড়া সাতমাইল দক্ষিণ বঙ্গের ঐহিত্যবাহী পশুর হাট। প্রতি ঈদেই আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা থাকে এই ঈদেও আছে। ঈদুল আযহায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ থাকে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের গমনাগমন নিবিগ্ন নিশ্চত করার পাশাপাশি কোরবানি’র পশুর পশুবাহি যানের নিরাপদ নিশ্চিত করা। পরিবহন মালিক শ্রমিক, প্রশাসন, পুলিশ আমরা সবাই মিলে এক সাথে কিন্তু কাজ করছি। যাতে ফিটনেস বিহীন গাড়ি না থাকে, লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার না থাকে বেপরোয়া যান যাতে না চালাই সে জন্য কাজ করেছি।
আর হাট কেন্দ্রিক যে ব্যবস্থা আপনারা দেখছেন পুলিশ কন্টোল রুম, জাল টাকা নির্নয়ক মেশিন ও সিসি ক্যামেরার আওতায় গুরুত্বপূর্ণ হাটটি নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যশোর জেলায় ৩০টি হাট। ৫টি স্থায়ী আর ২৫টি অস্থায়ী। বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ হাট গুলো আমরা সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছি, জাল টাকা গণনার জন্য বাংকের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্জ, হাট কতৃপক্ষসহ আমরা কিন্তু সবাই এক সাথে কাজ করছি। এছাড়াও ঈদ কে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি, মলমপাটি, অজ্ঞানপাটি বেড়ে যায় সে জন্য আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছি আপনার জানেন যশোর জেলা পুলিশ সব সময় দূণীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স। সকল বিষয়ের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সাদা পোষাকে ও পোষাকে ১হাজার ৪শ পুলিশ আপনাদের ঈদ আনন্দ নির্বিগ্ন করতে আমরা প্রস্তুত আছি, এছাড়াও হট লাইন ৯৯৯ আছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল, নাভারণ সার্কেল নিশাত আল নাহিয়ান, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকিকুল ইসলাম আকিক, নাভারণ হায়ওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী শহিদুল ইসলাম, এস আই আলহাজ, এএসআই আবু সাঈদ সহ প্রশাসনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন