রাষ্ট্রপতি স্বপরিবারে আরাফাতের ময়দানে কাটালেন

মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সকল হাজীদের ন্যায় পবিত্র হজ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আরাফাতে পুরো দিন কাটিয়েছেন।

পবিত্র হজ পালনের জন্য ১০ দিনের সফরে সৌদি আরবে রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার পুরো দিন আরাফাতের ময়দানে কাটিয়েছেন হজ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। এর আগে রাষ্ট্র প্রধান তাঁর পত্নী ড. রেবেকা সুলতানা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ২৪ জুন রাজকীয় অতিথি হিসেবে ওমরাহ পালন করেন।

২০২৩ সালে বার্ষিক হজ যাত্রার সময় হজযাত্রীরা আরাফাতের সমতল ভূমিতে রহমতের পাহাড়ে জড়ো হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন অন্যান্য হাজীদের মতো সূর্যাস্তের পর মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফাত ত্যাগ করবেন এবং সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন।
হজযাত্রীরা আগামীকাল সেখানে খোলা আকাশের নীচে ফজরের নামাজ আদায় করবেন এবং বুধবার আবার মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন।

এর আগে, হাজীরা আরাফাত পর্বত চড়ে প্রার্থনা করতে এবং অনুতপ্ত হন, কারণ একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক হজ তার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তারা ইসলামিক পন্ডিতদের প্রদত্ত একটি খুতবা শুনেন এবং আরাফাতের আল-নামিরাহ মসজিদে একসাথে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই বছরের হাজীদের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ।

বার্ষিক অনুষ্ঠানের জন্য মক্কার বাইরের পাথরের পাহাড়ের পাদদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, যা জাবাল আল-রাহমা বা রহমতের পাহাড় নামেও পরিচিত।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হাজিরা রহমতের পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করতে যাচ্ছেন।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে এর আগে মিনা থেকে আরাফাত পর্বতে বাসে করে হজযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিটি গ্রুপের সাথে নিরাপত্তা দল, অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল ডিফেন্সের যানবাহন ছিল। এদিকে, রাষ্ট্রপতি আগামী ২ জুলাই ঢাকার উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।