যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে দাবানলে পুড়ে নিহত ৩৬

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে হাওয়াইয়ের মাউয়ি দ্বীপ। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু মূলত মাউইয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাহাইনা। দ্বীপটির অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট এই শহরটিতে অবস্থিত।

হাওয়াইয়ের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাহাইনা। এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

দ্বীপটির ভয়াবহ দাবানলে এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাউই ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হনোলুলু স্টার জানিয়েছে, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে লাহাইনা শহরের অন্তত ২৭১টি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এসব ভবনের মধ্যে অনেক বহুতল হোটেলও ছিল।

লাহাইনার স্থানীয় বাসিন্দা ম্যাসন জারভি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি আমার জীবনে এত বড় বিপর্যয় দেখিনি। পুরো লাহাইনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে যেন একটা যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে আছি… টাইম বোমা দিয়ে পুরো শহর উড়িয়ে দিয়েছে কেউ।’

স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাহাইনা দ্বীপে এখন দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্ধারকারী কর্মী ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বুধবার ভোর থেকে দাবানল শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেও বেশি পর্যটকদের লাহাইনা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শহরটির অধিকাংশ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করা হলেও বিমানবন্দরগামী সড়কগুলো খোলা রাখা হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন মাউই প্রশাসনের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা এড স্নিফেন।

ঠিক কী কারণে এত বড় দাবানল ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা মাউই দ্বীপে গত কিছুদিন ধর চলা তাপপ্রবাহ ও তার জেরে গাছপালা শুকিয়ে যাওয়া, বাতাসে জলীয় বাস্পের স্বল্পতা, এবং প্রশান্ত মহাসাগরে উদ্ভূত ঘুর্ণিঝড় ডোরা প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল বাতাকে এই দাবানলের প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।