রংপুরের পীরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে কলেজ ছাত্রী

সাত বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম। প্রেমকে চির অম্লান করে রাখার স্বপ্নে বিভোর কলেজ ছাত্রী সর্বস্ব বিলিয়ে দেয় প্রেমিককে। প্রেমের শেষ পরিণাম বিয়ে। আর বিয়ের দাবিতে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ওই কলেজ পড়ুয়া (১৭) ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নের খাসতালুক মধ্যপাড়া গ্রামে।

কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবার জানায়, প্রায় ৭ বছর ধরে খাসতালুক মধ্যপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী ফজলু মিয়ার পুত্র রকি মিয়া (২৩) একই গ্রামের প্রতিবেশী ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। অতঃপর মোবাইলে চেটিংসহ দেখা-সাক্ষাৎ হতো প্রায় প্রতিদিন। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থান নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারিরীক সম্পর্ক গড়াতে বাধ্য করতো রকি মিয়া।

কলেজ ছাত্রীর বড়ভাই নয়ন মিয়া জানান, বোনকে বিয়ে দেয়ার জন্য কয়েকবার বিয়ে ঠিক করা হয়েছিলো প্রত্যেক বারই বিয়ে ভেঙ্গে দেয় রকি মিয়া। শুধু তাই নয়, ছোট বোনের বিয়ের জন্য যাবতীয় খরচাদি সম্পন্ন- পরদিন বিয়ের অনুষ্ঠান। অথচ সে বিয়েও ভেঙ্গে দিয়েছে ওই রকি। তিনি দীর্ঘশ্বাসে বলেন, আমরা খব-ই গরীব মানুষ আর ওরা (রকির পরিবার) অনেক বড়লোক। তারা অন্যায় করেও বেঁচে যাবে হয়তো!

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জানায়, ৭বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। ২/৩ দিন ধরে রকির সঙ্গে কথা-বার্তা কিংবা মোবাইল যোগাযোগ বন্ধ। সে আমাকে ব্লক মেরেছে। তাই বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি। সে (রকি) আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। আমি সমাজে এ মুখ দেখাবো কেমনে! হয় ওর সাথে আমার বিয়ে হবে, নয়তো ওর বাড়ি থেকে আমার লাশ বের হবে। ওই কলেজ ছাত্রী তার শরীরের ছেঁড়া জামা দেখিয়ে বলেন, রকি মিয়ার পরিবারের লোকজন আমাকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে টানা হেঁচড়া করে বাড়ির বাহিরে বের করে দেয়। যদিও পরে আবার ওই বাড়িতেই অবস্থান নিই। এ সময় রকি মিয়াও বাড়িতে ছিলো। কিছুক্ষণ পরেই তাকে পরিবারের লোকজন পালিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনেছি তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।