রাজশাহীর তানোরে পাচিং পদ্ধতিতে ধান চাষ কৃষকের সুফল
রাজশাহীর তানোরে ধানের জমিতে ক্ষতিকর পোকাদমনে প্রকৃতিক পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছেন কৃষকরা। বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান। এদেশের মানুষকে কৃষির ওপর নির্ভর করে চলতে হয়। কৃষক বছরে ৩ বার ধান রোপন করে থাকে।
ধান উৎপাদনের প্রধান অন্তরায় ক্ষতি কারক হিসাবে ধরা হয় পোকার আক্রমণ। ধান ক্ষেতের পোকা দমনের জন্য কৃষক ব্যাপক হারে কীটনাশক ব্যবহার করে। এতে করে পোকা সহ পানি মাটি বাতাস দৃষিত হয়ে পড়ে। এমন কি কৃষকের স্বাস্থ্য ঝুকিতে থাকে। কিন্তু কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার এখন কমতে শুরু করেছে। তানোর উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নে প্রায় জমিতে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ রোধ করতে পাচিং প্রদ্ধতিতে ধানে জমিতে ধৈঞ্চাতে গাছ লাগানো হয়েছে। বর্তমান মাঠে ধানের অবস্থা অত্যন্ত ভালো। এসব প্রযুক্তি প্রয়োগে ধান ক্ষেতে কৃষকদের পোকা ও রোগবালাই নাশক দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছেনা।
ফলে পরিবেশ, স্বাস্থ্য ভাল সহ উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে ও কৃষক নিরাপদ স্বাস্থ্য সম্মত ফসল উৎপাদন করছে। গাগরন্দ গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন ও মফিজ উদ্দিন জানান, ধানের অবস্থা খুব ভালো। এ বার আমরা আমন ধান রোপন করেছি এবং জমিতে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছি ফলে পোঁকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী চাষাবাদ করছি। ফলে আর্থিক ভাবে লাভবান হবে বলে এমনটি আশা করছেন তারা।
কৃষক নূরনবি আলী জানান এভাবে কৃষি বিভাগের নতুন নতুন প্রযুক্তি কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগকে অভিনন্দন জানাই।
তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী হোসেন রেজা জানান, ধান রোপন করা শতভাগ জমিতে পাচিং পদ্ধতি বব্যবহার করা হয়েছে। ধান ক্ষেতে ধৈঞ্চাতে পোঁকা খেকো পাখি বসার ফলে ধানের জমিতে কীটনাশক খরচ কম হচ্ছে ও পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা হচ্ছে। ফলে কৃষক আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার গড়ে ৮০ শতাংশ জমিতে লাইন ৫০ শতাংশ জমিতে লোগো ও প্রায় ১০০ শতাংশ পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এসব প্রযুক্তি পোঁকা ও রোগ ব্যবস্থাপনা খুবই ফলপ্রসু। তাই কৃষক খুবই স্বাচ্ছান্দ পূর্ণভাবে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক ভাবে এসব প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ফসলের নতুন নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগে নিবিড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আাশা করছি এবার আমন ধানের ফলন অত্যন্ত ভাল হবে এবং কৃষক খুবই লাভবান হবেন। তিনি আরো জানান উপজেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২১হাজার ১৪০ হেক্টর ও অর্জিত হয়েছে ২১ হাজার ৮০০ হেক্টর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন