এই নারীর হাতেই অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটারদের জীবন!

কিছু দিন আগে জার্মানির বুন্দেসলিগায় প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ইতিহাস গড়েছেন বিবিয়ানা স্টেইনহস। এবার ক্রিকেটে পুরুষদের ম্যাচে প্রথম মহিলা আম্পায়ার হিসেবে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন ক্ল্যায়ার পোলোসাক। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগের প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এই নারী।

৮ অক্টোবর যখন সিডনির হাস্টবিলে বাউন্ডারি লাইনের ভেতরে পা রাখবেন পোলোসাক, শুরু হবে ক্রিকেটের নতুন এক অধ্যায়। নিউ সাউথ ওয়েলস ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সাথে থাকবেন অভিজ্ঞ আম্পায়ার পল উইলসন। এই ম্যাচে খেলার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্কের।

২৯ বছর বয়সি ক্ল্যায়ার গত দু’বছর ধরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ডেভেলপমেন্ট আম্পায়ার প্যানেলে আছেন। তিনি এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় পুরুষদের ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার পুরুষদের ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন তিনি।

কখনোই পেশাদার ক্রিকেট খেলেননি। তাহলে আম্পায়ার হওয়ার ভূত মাথায় চাপলো কিভাবে? ২৯ বছর বয়সী পোলোসাক জানাচ্ছেন, ব্যাট-বল হাতে না নামলেও ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহের কোনো কমতি ছিল না, ‘আমি কখনোই ক্রিকেট খেলিনি। এতে অনেকেই অবাক হতে পারেন। তবে ক্রিকেট সবসময়ই আমার পছন্দের খেলা ছিল, খোঁজখবর রাখতাম। এরপর আমার বাবা আমাকে আম্পায়ারের কোর্সে ভর্তি করিয়ে দেন। আমি খুব করে চাইতাম এই পেশায় ভালো কিছু করে দেখাতে।’

একজন মেয়ে হিসেবে এই পেশায় এগিয়ে যাওয়াটা সহজ ছিল না বলেই মানছেন পোলোসাক, ‘অন্যদের চেয়ে হয়ত আমাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে এতে আনন্দই পেয়েছি। আমার মেধা দিয়ে যতটুক আগানো যায় ওতেই আমি খুশি ছিলাম। এটা দিয়েই আমি সামনের দিকে এগোতে চাই।’

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পোলোসাকের এই অর্জনে আনন্দিত, ‘এত অল্প সময়ে তার এই অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির আম্পায়ারদের মাঝে তিনি একজন। এটা ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। আমরা তাকে শুভকামনা জানাচ্ছি।’