শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে শিক্ষাদানের মহান দায়িত্ব অর্পিত হয় শিক্ষকের ওপর। পিতামাতা সন্তান জন্ম দেন, একজন শিক্ষক সে সন্তানকে যোগ্যতর মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। শিক্ষকরা সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি করতে চেয়েছিলেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে একটি যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষানীতি করেছেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে এবং সুনাম অর্জন করছে। দেশ ও শিক্ষকদের সম্মানিত করেছেন। বছরের প্রথমদিনই সারা দেশের সকল শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে নতুন বই পাচ্ছে। দেশের নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করতে কাজ করছেন। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)’র ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র্যালির উদ্ধোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)’র সভাপতি আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু প্রমূখ।
এসময় সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপ-মন্ত্রী শামীম বলেন, ‘আপনারা আমাদের সমাজের ভিত গড়ে দেন। আপনাদের জন্য আমরা বেঁচে আছি, জাতি বেঁচে আছে। আপনারা মানুষ গড়ার কারিগর। আপনারাই পারেন জাতিকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে। তাই শিক্ষাখাতে শিক্ষকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। এ সরকারের আমলেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হয়েছে, তাই শিক্ষকদের উচিত পাঠদান যাতে পুষিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ রাখা। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে সামিল হবো উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভবিষৎ প্রজন্মকে চলতে হলে শিক্ষাকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি জাতিকে একটি শিক্ষিত ও আদর্শ জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। আমাদের প্রত্যেককে তাঁর আদর্শ ও দেশপ্রেম থেকে শিক্ষা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী’র নেতৃত্বে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করেছেন। স্কুল-কলেজে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব করে দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থাসহ দেশের অগ্রগতিই প্রমাণ করে সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই বারবার দরকার।’
তথ্যবিবরণী-পিআইডি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন