শেরপুরে তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু
সারাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর প্রভাবে শেরপুরেও তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হিট স্ট্রোকে আল-আমিন নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। দাবদাহে সবার মধ্যেই এক ধরনের অস্বস্তি ও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।
বিশেষ করে এই গরমে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি। তীব্র গরমের কারণে তাদের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। বিভিন্ন পরিবহনের চালক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ কর্মজীবী মানুষেরা গরম উপেক্ষা করে বের হলেও অনেকেই হাঁসফাঁস করছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও কর্মজীবীদের জীবন যেন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। তার পরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটতে হচ্ছে তাদের। কেউবা কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিচ্ছেন ছায়ার নিচে। গরমের কারণে দীর্ঘসময় কাজ করতে না পারায় কমে গেছে তাদের আয়ের পরিমাণও। গরমের কারণে কষ্ট কয়েকগুণ বাড়লেও আয় বাড়েনি।
শহরের বটতলায় কথা হয় রিকশাচালকদের সাথে। তারা বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে রিকশা চালাই। এমন গরম আগে কখনো দেখি নাই। এটা তো ধনী-গরিবের জন্য আলাদা হয় না। আমাদের মতো গরিবের এই গরমের মধ্যেই কষ্ট করে ভাত জোগাতে হয়। একদিকে গরমের কারণে বেশিক্ষণ রিকশা যেমন চালানো যায় না, আরেক দিকে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না। মানুষ গরমের কারণে দিনে বাসা থেকে তেমন বের হয় না।
নিউমার্কেট মোড়ে এক রিকশাচালক বলেন, এই গরমে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হওয়াই ভয়ের। বেশি দূরের ভাড়ায় যাই না। আধা ঘণ্টা রিকশা চালাই, আর আধা ঘণ্টা বিশ্রাম নেই। আবার অতিরিক্ত গরমের কারণে লোকজনও কম বের হচ্ছে। ফলে ভাড়াও বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে তার আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। কষ্ট বেশি হলেও আয় না থাকায় চলতে কষ্ট হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন