শেষ হতে যাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলের ডাবল লাইন, খুলে যাবে নতুন দিগন্ত
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের রেলের ডাবল লাইন চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। আর মাত্র একাত্তর কিলোমিটারের নির্মাণ কাজ শেষ হলেই চালু হবে ডাবল লাইন। দেরিতে হলেও এ লাইন চালু হলে রেলের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
১০ মে বুধবার দেশের নামকরা বেসরকারী টিভি’র এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেল পথের দৈর্ঘ্য ৩২০ কিলোমিটার। নানা বাধা বিপত্তির কারণে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতি পায় না রেল। তাই এই পথটুকু পাড়ি দিতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। মোট পথের ১২০ কিলোমিটার ডাবল লাইন আগেই ছিল। বাকি ২০০ কিলোমিটার উন্নীত করতে পাঁচ ধাপের এখন চলছে শেষ ধাপ।
এরই মধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাই চিনকী আস্তানা থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার রেল লাইন চালু করা হয় ২০১৫ সালে। পরের বছরই টঙ্গী থেকে ভৈরব পর্যন্ত ৬৮ কিলোমিটার রেলের ডাবল লাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়। এদিকে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস রেল সেতুর কাজ।
চলছে ছয় হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে লাকসাম আখাউড়া ৭২ কিলোমিটার রেল লাইনের কাজ। রেল যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. হাসিব মোহাম্মদ এহসান বলেন, ‘যদি দুইদিক থেকে চলে তাহলে একটাকে কিন্তু থেমে থাকতে হবে স্টেশনে। পুরোপুরি স্টেশন থেকে স্টেশনে বন্ধ করা থাকে। এখন আর সেটার দরকার হবে না।’
দ্রুত কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি বলেন, ‘আশা করি, আগামী দেড় বছরের মধ্যে লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত অংশটুকুর কাজ শেষ হয়ে যাবে। এটুকু শেষ হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পুরো রেললাইন ডাবল লেনে চলে যাবে।’ এই রুটে রেল বাড়ানোর পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন