শোকের মাসে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : শোকের মাসে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) বেলা ১২টায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শীতল
চৌধুরী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং খাবার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ কমান্ডো ০০০১বীর মুক্তিযোদ্ধা
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এমপি রবি বলেন,“আজ
সেই ভয়াল ২১ শে আগস্ট। বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস ভয়াল-বিভীষিকাময় ২১শে আগস্ট রাজনৈতিক ইতিহাসে হত্যাযজ্ঞের এক কলঙ্কময় দিন। গ্রেনেড হামলার ১৯তম
বার্ষিকী পালন করছি। ২১ শে আগস্টের ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলার সেই বিভীষিকাময় ভয়াবহতা আজো আমাকে কাঁদায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। মৃত্যু-ধ্বংস-রক্ত¯্রােতের নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ১৯তম বার্ষিকী।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বুকে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশে চালানো হয় নজিরবিহীন এই হত্যাযজ্ঞ। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে অকল্পনীয় এক নারকীয় গ্রেনেড হামলার ঘটনা
বাংলাদেশে এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের জন্ম দেয়। ২১ আগস্ট ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ
প্রতিষ্ঠা করা। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত পৈশাচিক এ হামলায় সে দিন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও মহিলা আওয়ামী লীগ
নেত্রী বেগম আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন। শুধু গ্রেনেড হামলাই নয়, সেদিন তাদের প্রধান টার্গেটে থাকা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়ি লক্ষ্য করেও চালানো হয় ছয় রাউন্ড গুলি। ওই ঘটনায় মহান আল্লাহর রহমতে দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করে। সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি আহত হন, তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাঙালি জাতি আজ শ্রদ্ধাবনতচিত্তে ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী পালন করছে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মাহফুজুর রহমান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. মো.
সালমান হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মীর আজহার আলী শাহীন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, জেলা মৎস্যজীবী লীগের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান, সাতক্ষীরা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং
সুপারভাইজার তৌহিদা পারভীন, সিনিয়র স্টাফ নার্স নমিতা সরকার, হেলথ এডুকেটর মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ।
শোকের মাস উপলক্ষে আজ থেকে ১০দিন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।
এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন