সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2023/04/images-15-1.jpeg)
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত IWAMA Kiminori আজ সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে তাঁর সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময় বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশে জাপানি স্থপতি কর্তৃক শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন, বাংলাদেশ-জাপান যৌথ চিত্র প্রদর্শনী আয়োজন ও বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ নির্মাণে জাপানের সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান, জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জাদুঘর ও সংগ্রহশালা এবং একটি জনপ্রিয় সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী, গবেষক, পর্যটক ও স্থানীয় জনগণ এটি পরিদর্শন করে। এসব বিষয় বিবেচনা করে জাপান দূতাবাস জাপানের প্রখ্যাত স্থপতি Tadao Ando এর মনোরম স্থাপত্য নকশায় বাংলাদেশের শিশুদের জন্য জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে একটি নান্দনিক শিশু গ্রন্থাগার স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, প্রস্তাবিত শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন এবং এর ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও জাপানের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের খসড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় জাদুঘরে প্রেরণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন।
শিশু গ্রন্থাগার নির্মাণের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জাপান সফরের সময়ে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হতে পারে। শিশু গ্রন্থাগারটি নির্মিত হলে একদিকে যেমন আমাদের শিশুদের পাঠাভ্যাস গড়ে উঠবে, অন্যদিকে এটি জাপানের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। প্রতিমন্ত্রী পদ্মা সেতুর নিকট সিডনি অপেরা হাউজের আদলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ’ নির্মাণে জাপানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। জাইকা’র মাধ্যমে বিগত কয়েক দশক ধরে জাপান বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অপেরা হাউজ নির্মাণে বিনিয়োগ একটু কঠিন। তবে এটি বাংলাদেশের অগ্রাধিকার প্রকল্প হলে বাংলাদেশকে অফিসিয়াল প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে। যেহেতু, এটি বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেজন্য এ বিষয়ে জাপান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া একান্ত আবশ্যক। রাষ্ট্রদূত এসময় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর মাধ্যমেও এটি বাস্তবায়িত হতে পারে বলে মতপ্রকাশ করেন। তিনি এ সময় প্রতিমন্ত্রীকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সাংস্কৃতিক বিনিময়) কাজী নুরুল ইসলাম, উপসচিব (সাংস্কৃতিক চুক্তি) আয়েশা সিদ্দিকা এবং প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন