সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমোদন
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জিটুজি পদ্ধতিতে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৮ম ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১০ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য তিনটি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া টেবিলে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য তিনটি প্রস্তাবই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের।
ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের দু’টি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। এতে মোট অর্থের পরিমাণ ৬৬৩ কোটি ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৯০১ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সস্পূর্ণ অর্থই জিওবি থেকে ব্যয় হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে চাল আনার চেষ্টা করছি। এর একটাই কারণ, কোনো জায়গায় ফেল করলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সে কারণে আমরা রিস্কটা মিনিমাইজ করার জন্য বা আরো কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে কেনার ব্যবস্থা করছি।
চাল দাম প্রতিকেজি কতো করে পড়ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চালের প্রতিকেজি কতো সেটা এখনও আসেনি। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এখন আমাদের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে চালের দাম সংগ্রহ করবে। এরপর ভার্চ্যুয়ালি আলোচনা করে নির্ধারণ করবে। চাল নিয়ে কোনো রিস্ক না নেওয়ার জন্যই ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কতো দামে কেনা হবে সেটা পড়ে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে আবার আসবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন