যৌতুকের টাকা-বাইক নিয়ে কনে ফেলে পালালেন বর

সম্প্রতি ভারতের কুমার গ্রাম নামক এলাকায় ঘটেছে এক আজবকাণ্ড। বিয়ের দিন সন্ধ্যায় বিয়ের পিঁড়িতে না বসেই বিয়ের যৌতুক নিয়ে প্রেমিকার সাথে পালিয়ে যান এক তরুণ! এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের সহায়তায় ওই তরুণীর বিয়ে হয় স্থানীয় এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আজকালের এক খবরে বলা হয়, কুমারগ্রাম থানার দুর্গাবাড়ি এলাকার রাসু দাসের মেয়ে পাপিয়ার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের পাঁচকোলগুড়ি এলাকার মিন্টু বর্মন নামে এক তরুণের। পেশায় হোমগার্ড মিন্টুর বিয়ের যৌতুক বাবদ নগদ ২ লাখ রুপি, মোটরবাইকসহ সোনার গহনার দাবি ছিল। গত সোমবার রাতে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের আগেই মোটরবাইক ও টাকা নিয়ে নেন ওই হোমগার্ড। বিপত্তি ঘটে বিয়ের দিন সন্ধ্যায়। প্রেমিকাকে নিয়ে পালান মিন্টু।

এই খবর আসতেই কনের বাড়ির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এরপরই কুমারগ্রাম থানার অফিসার বাসুদেব সরকারের কাছে যায় কনের পরিবার। এরপরই পাপিয়ার বিয়ের ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়ে ওঠেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সোমবার রাতেই কুমারগ্রাম থানায় কর্মরত ধীরেশ রায় নামে এক সিভিল ভলান্টিয়ারকে বিয়েতে রাজি করান তারা। থানায় ডেকে আনেন তার পরিবারের লোকেদের।

দুই পক্ষকে বসিয়ে আলোচনা হয়। তারা বিয়েতে রাজি হওয়ার পরেই ধীরেশের সঙ্গে পাপিয়ার বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে যায়। সেদিন রাতেই মিন্টু বর্মনকে দেওয়া পণের ২ লক্ষ রুপি ও মোটরবাইক উদ্ধার করে আনে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ।