সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৫ মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে কালভার্ট: ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কাটাগাড়ি-রানীহাট আঞ্চলিক সড়কের দেওড়া নামক স্থানের কালভার্টটি পাঁচ মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এদিকে কালভার্টের একপাশ দিয়ে সে স্থানটির সড়কও দেবে গেছে। যে কোনো সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একালাবাসী দ্রুত ওই সড়কের কালভার্টটি মেরামত কিংবা নতুন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ তাড়াশ কাটাগাড়ি-রানীহাট আঞ্চলিক সড়কটি একটি আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়ক দিয়ে শেরপুর, বগুড়া, নাটোরের সিংড়া, এলাকার সংযোগ সড়কটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। পাশাপাশি দেওড়া, রানীহাট, কাটাগাড়ি, টাগড়া, হাড়িসোনাসহ ৬-৭টি গ্রামের ফসলী মাঠের পানি নিষ্কশানের জন্য দেওড়া নামক স্থানে আঞ্চলিক সড়কে কালভার্টি নির্মাণ করা হয়।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এবং মাঠ থেকে ফসল আনা নেওয়ার একমাত্র এ সড়কটি। তাই এলাকার হাজার হাজার মানুষের যাতাযাতের এই সড়ক। কিন্তু গত জুলাই এ ওই আঞ্চলিক সড়কটি তাড়াশ অংশের দেওড়া নামক স্থানের কালভার্টটির পশ্চিম পাশে অর্ধেকের বেশি ভেঙে গেছে। বর্তমানে কালভার্টটির উপরিংশের ঢালাই ভেঙে লোহার রড বের হয়ে পড়েছে।
তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থ বছরে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে ২ লাখ ৩০ হাজার ৭১৫ টাকা ব্যয়ে ১০০ মিটার দীর্ঘ দেওড়া বক্স কালভার্ট নির্মাণ করে। এরপর আর কালভার্টির মেরামত কিংবা সংস্কার হয়নি।
দেওড়া গ্রামের কৃষক জগদীশ চন্দ্র বলেন, কালভার্টি ভেঙ্গে গেছে। যা এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগ মেরামত করেননি। ফলে ভাঙা কালভার্টের একাংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ভারী ও হালকা যান চলাচল করছে। আবার শুধু একাংশ দিয়ে যান চলাচল করায় কালভার্টের উত্তর অংশের পাকা সড়কও দেবে গেছে। সড়কটির বক্স কালভার্ট নির্মাণ বা মেরামতের দাবি জানাই।
তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, ওই কালভার্টি দেখে দ্রুত মেরামত কিবাং নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন