সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায়, দ্রুত বিচার চেয়ে হাইকোর্টে রীট
দেশ ও বিদেশে আলোচিত সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ দিন অতিবাহীত হলে বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়ায়। ওই ধর্ষিতার স্বামী দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরু জন্য হাইকোটে রিট করেছেন।
সোমবার (১আগস্ট) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে এ রিট আবেদন করার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন এ তথ্য জানিয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারিতে ধর্ষণ মামলায় এবং চাঁদাবাজির মামলায় চলতি বছওেংষধস মে মাসে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যূনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী ওই তরুণীর স্বামী এ রিট করার অনুমতি নিয়েছেন রিট করেছেন।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় আট জনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছরের ১৭ জনুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।
অভিযোগ পত্রে আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আসলে দু’টি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এরপর চলতি বছরের ১১ মে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আদালত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন