সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে, কমতে শুরু করেছে পানি

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে পানি আসায় গোঠা সিলেট বিভাগ জুড়ে বন্যা দেখা যায়। রোববার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে সূর্য়ের মুখে রৌদ্রের আলো দেখা গেলে ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করে। সিলেট নগরীর বিভিন্ন পয়ন্টে উঠা পানি গুলো ইতোমধ্যে কমতে দেখা যায়। তার পাশাপাশি সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে দেখা গেছে। তবে হাওয়র এলাকায় এখনও পানি অপরিবর্তিত হয়েছে। পাউবো সূত্রে জানা ২৪ ঘন্টায় সুরমায় ৯ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারায় ৩৪  সেন্টিমিটার পানি কমেছে।

সিলেট নগরীর কিছু এলাকার বাসা-বাড়ী থেকে পানি নামলেও রাস্তাঘাটে পানি রয়েছে। তবে এদিকে ড্রেন থেকে ময়লা পানি নগরীর বিভিন্ন বাসা বাড়িতে উঠার কারণে পানিবাহিত সংক্রমক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে শিশু ও ছাত্র-ছাত্রীদের এসব পানি থেকে দূরে রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।

এ ব্যাপার সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় শংকর দত্ত জানান, পানি নেমে যাওয়ার পর পানিবাহিত রোগব্যাধি ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়। এক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত- প্রথমত কষ্ট করে হলেও বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। প্রয়োজনে বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করে অথবা ফুটিয়ে পানি পান করতে হবে। দ্বিতীয়ত শিশুদের ময়লা পানি থেকে অবশ্যই দূরে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, পানিবাহিত রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে এ জন্য আমরা ইতোমধ্যে ১৪০ টি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। তারা বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার্তদের সেবায় কাজ করছে। সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করলে আমরা পানিবাহিত রোগবালাই থেকে নিজে ও পরিবার পরিজনকে রক্ষা করতে পারি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে  সোমবার বিকেল ৩টায় ছিল ১৩.৫৮ মিটার, আর মঙ্গলবার সকালে ছিল ১৩.৪৪ মিটার। এ নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে মঙ্গলবার সকালে ছিল ১০.৮৫ মিটার।
কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মঙ্গলবার সকালে থেকে ছিল ৯.৮৩ মিটার রয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস. এম শহিদুল ইসলাম জানান, সিলেটের প্রায় সব এলাকাতেই বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। পানি নামতে শুরু করেছে। কিছু জায়গায় দ্রুত নামলেও কিছু জায়গায় পানি কমছে ধীরগতিতে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে  যেতে পারে।