সুপ্রিম কোর্ট ভুল করলে কোথায় যাবো?
সুপ্রিম কোর্ট ভুল করলে কোথায় যাবো? এমন প্রশ্ন রেখে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খাইরুল হক বলেছেন, সুপ্রিমকোর্ট সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। যে কোন রায় প্রকাশিত হওয়ার পর যে কেউ সেই রায় নিয়ে সমালোচনা করতে পারবে।
জাতীয় আইন কমিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি ষোড়শ সংশোধনীর রায় পড়ে দেখেছি যে এই রায়ে অনেক অপ্রাসংগিক মন্তব্য রয়েছে। যে সব কথার কোন প্রয়োজনই এই রায়ে ছিল না।
“ওই রায়ে পার্লামেন্ট মেম্বারদের ইমম্যচিউর বলা হয়েছে। যেটা এখানে বলার কোন দরকার ছিল না।”
ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের মাধ্যমে বহাল হওয়া সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রসংগে এ বি এম খাইরুল হক বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে ফিরতে হলে আগে এ সংক্রান্ত আইন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রথম কোন রায়ে দেখলাম যেখানে অরিজিনালকে বাদ দিয়ে মার্শাল ‘ল এর প্রভিসনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’
“ষোড়শ সংশোধনীর রায় পড়ে মনে হয়েছে এ দেশ জাজেস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ হয়ে গেছে, পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ আর থাকছে না।”
গত ১ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় । সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯৯ পৃষ্ঠার ওই রায় প্রকাশ করা হয়।।
প্রকাশিত রায় অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের সুপারিশ করার ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতেই ফিরেছে।
চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের যে সংশোধন আনা হয় তা সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক বলে রায়ে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে, গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন