যদি কাশ্মিরে ঢুকে পড়ি তখন কী হবে : ভারতকে চীন

ভারতের কাশ্মির-উত্তরাখন্ডে প্রবেশের হুমকি দিয়েছে চীন। নিজেদের সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে ভারতকে হুশিয়ারি দিয়েছিল চীন। কিন্তু তাদের সেই হুশিয়ারি গায়ে মাখেনি ভারত। সেনা প্রত্যাহার না করায় ভারতে হুমকি দিয়ে চীনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আমরা যদি উত্তরাখন্ড বা কাশ্মিরে ঢুকে পড়ি তখন কী হবে?

প্রায় দু’মাস ধরে সিকিম সেক্টরের দোকালামে মুখোমুখি অবস্থান করছে চীন এবং ভারতের সেনারা। বিতর্কিত ওই অঞ্চলে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণে চীনের সেনাদের বাধা দিয়েছে ভারতীয় সেনারা।

চীনের দাবি ওই অঞ্চলে নিজেদের এলাকাতেই রাস্তা নির্মাণ করছিল তারা। দোকালাম থেকে অবিলম্বে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানিয়েছে চীন।

এদিকে, ভুটান বলছে দোকালাম তাদের। কিন্তু চীন সেখানে ভুটানের আঞ্চলিক সীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।

এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘দুই মাস ধরে অবৈধভাবে চীনের আঞ্চলিক এলাকায় অবস্থান করছে ভারতীয় সেনারা। ওই অঞ্চলের রাস্তায় মালামাল এবং বিপুল সংখ্যক সেনা বাহিনী মোতায়েন করেছে ভারত। এটা অবশ্যই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নয়।’

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাউন্ডারি অ্যান্ড ওশেন অ্যাফেয়ার্সের উপ-মহাপরিচালক ওয়াং ওয়েনলি বলেন, ‘যদি সেখানে একজন মাত্রও ভারতীয় সেনা থাকে তাহলেও সেটা আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক ভূখণ্ডে প্রবেশাধিকার লঙ্ঘন করছে।’

অপরদিকে চীনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘সব সময়ই ভারত-চীন সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী ভারত। পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য আমরা চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক পথেই যোগাযোগের চেষ্টা করব।’

ওয়াং আরো বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা সম্ভব নয়। আমাদের জনগণ মনে করবে আমাদের সরকার কোনো কাজেরই না। যতক্ষণ পর্যন্ত ভারত ওই অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের আলোচনা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে দোকালাম থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া।’

ভারতের বিরুদ্ধে চীন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে এ বিষয়ে ওয়াংকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু এটাই বলতে পারি যে, পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) এবং চীনা সরকারের নিজেদের সংকল্প রয়েছে। যদি ভারতের পক্ষ থেকে ভুল পথ বেছে নেয়াও হয় তখনও নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে সঠিক পথটিই বেছে নেব আমরা।’

তিনি বলেন, ‘এটা একেবারেই পরিস্কার যে, চীনের নিজস্ব অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। তাই তাদেরকেই সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।’