হিলিপ প্রকল্পের ১৩২টি জলমহাল হস্তান্তরের সময়সীমা বৃদ্ধি : ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, এখন কেবল নিবন্ধিত ও প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, তথা প্রকৃত মৎস্যজীবীরাই জলমহাল ইজারা পাচ্ছেন। কারণ, অনলাইনে জলমহাল আবেদন গ্রহণের পর মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন এবং ভূমি তথ্য ব্যাংক থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ভূমি মন্ত্রণালয়ের সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির ৭০তম সভায় সভাপতিত্ব করার সময় ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সায়রাত মহাল শাখা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাভুক্ত হিলিপ প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ। ইজারার জন্য প্রস্তাবকৃত জলমহাল সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকবৃন্দ সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী সভায় আরো বলেন, ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে অধিগ্রহণকৃত সকল জমি এবং সায়রাত মহাল সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে আপলোড করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের সরকারি ও খাস জমি/ভূ-সম্পদের প্রায় ৮২ শতাংশ উপাত্ত ভূমি তথ্য ব্যাংকে আপলোড করা হয়েছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জলমহালসহ বালুমহাল, খাসজমি, অর্পিত সম্পত্তি, হাটবাজার, চা-বাগান, চিংড়িমহাল এবং অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সকল তথ্য ভূমি তথ্য ব্যাংকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে, বন্দোবস্ত প্রদানকৃত জমি, সায়রাত মহালের সকল তথ্য, সরকারি ভূ-সম্পত্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া জমি অধিগ্রহণ ও বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণেও ভূমি তথ্য ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
উল্লেখ্য, আজ হবিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, পাবনা, কিশোরগঞ্জ এবং খুলনা জেলার মোট ১৭টি প্রস্তাবের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক-এর নিকট থেকে প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন হিলিপ প্রকল্পে হস্তান্তরিত ১৩৯টি জলমহাল হস্তান্তরের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধির ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আজকের সভায় প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হিলিপ প্রকল্পে হস্তান্তরিত ১৩৯টি জলমহালের মধ্যে ১৩২টি জলমহালের হস্তান্তরের সময়সীমা আগামী ১৩ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার অনুমোদন দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ‘হাওর অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’ (হিলিপ) হাওর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসে ২০১২ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে হিলিপ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন