৪৯ বছরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, “যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে, পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে” কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের কবিতা যেন পাকিস্তানের বঞ্চিত ভূখণ্ড থেকে আজকের অগ্রগতির বাংলাদেশের কথা বলছে। নানা ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার ছিল পূর্ব পাকিস্তান, অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী গত ৪৯ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ২য় তলার তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ) আয়োজিত “বিজয়ের ৪৯ বছরে পাকিস্তানের চেয়েও সমৃদ্ধি, ঐতিহ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে এগিয়ে বাংলাদেশ”-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে রাষ্ট্র নামক শোষণযন্ত্র থেকে ঘৃণাভরে পৃথক হয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, সেই পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এখন বেশী সম্পদশালী দেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪৯ বছরের ব্যবধানে পাকিস্তানকে বহু পিছনে ফেলে তাদের চেয়ে দ্বিগুন ধণী রাষ্ট্র হয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এবারের বিজয়ের দিনে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বিভিন্ন সংকটে পরে থাকা পাকিস্তানের বর্তমান রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলার। দেশ স্বাধীনের সময় বাংলাদেশের এই রিজার্ভের পরিমাণ ছিল শূন্য। বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেশি। ভারতের পর বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হল বাংলাদেশ।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, পাকিস্তানের উন্নয়ন গবেষক জাইঘাম খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাকিস্তানের উন্নয়নের জন্য সুইডেনকে না দেখে বাংলাদেশের দিকে তাকানোর পরমর্শ দিয়ে বলেন পাকিস্তানকে বাংলাদেশের মতো বানান।
তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে গৌরব করার জন্য আমাদের আরও জায়গা রয়েছে। সেই জায়গাগুলোতে এগিয়ে যেতে হবে, আরও কিছু কাজ করতে হবে। সুষ্ঠু ও উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রচলন করতে হবে, যার প্রভাব পড়বে সমাজে-অর্থনীতিতে। সেই লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই শেরে বাংলা, মওলানা ভাসানী, সোহরাওয়র্দী ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তিতে আমাদের অঙ্গীকার হোক এই— যে চেতনা ও উদ্দেশ্য নিয়ে একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আপামর জনসাধারণ, তার বাস্তবায়ন। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা নিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। দেশের সব মানুষের শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থান নিশ্চিত হোক। স্বাধীনতাহীনতায় কেউ থাকবে না। সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাক স্বাধীনতার সুফল, সুষমভাবে।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী’র সভাপতিত্বে ও সঞ্চালানায় আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমীর হোসেন আমু। অংশগ্রহন করেন সাবেক সেনাপ্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক, সাবেক সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড.নিম চন্দ্র ভৌমিক, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.এ.কে এম ইয়াকুব হোসেন, ঢা.বি’র শিক্ষক প্রফেসর ড.এম বদরুজ্জামান ভুইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন ভুইয়া, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, জনতা ফ্রন্টের সভাপতি আবু আহাদ দীপু মীর, ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসনাইটির সভাপতি রাহাত হুসাইন প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন