অনৈতিক কাজের সময় প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করে গণধোলাই, অতঃপর..

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় বেড়াতে আসা প্রেমিক যুগলকে নির্জন কক্ষে অনৈতিক কাজের সময় আটক করে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের শিতলাই রাজবাড়ী এলাকায়।
এদিকে মেয়েটি হুমকি দেয়, প্রেমিক সাগর তাকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে।
অভিযুক্ত সাগর পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুুড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিংগারী গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে। মেয়েটি নিমাইচড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও দশম শ্রেণির ছাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত এক বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। মোবাইলেই তারা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ১৯ এপ্রিল সাগর মেয়েটিকে নিয়ে চিতলাই রাজবাড়ী এলাকায় বেড়াতে আসে।
এক পর্যায়ে সাগর এলাকার একটি নির্জন কক্ষে মেয়েটির সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এ সময় এলাকাবাসী তাদের হাতেনাতে আটক করে এবং গণধোলাই দেয়।
পরে এলাকাবাসী স্থানীয় ইউপি মেম্বরের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ইউপি মেম্বরের নেতৃত্বে কয়েকজন গ্রামপ্রধানের সালিশী বৈঠক হয়। উভয়পক্ষের অভিভাবককে ডেকে পাঠানো হয় এবং কয়েক ঘন্টা ব্যাপী সালিশী বৈঠক হয়।
বৈঠকে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম মুক্তি, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেনসহ গ্রাম প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সালিশী বৈঠকে মেয়েটি জানান, বেড়াতে নিয়ে এসে সাগর তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
সাগর তাকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে জানান।

তবে বৈঠকের আগে সাগর কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন জানান, উভয়পক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে তাদের নিজ নিজ অভিভাবকদের দায়িত্বে দেয়া হয়েছে।

তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম মুক্তি মেয়েটির অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি জানান, ছেলে ও মেয়ে এখানে বেড়াতে এসেছিল। ঘটনাটি তেমন কিছু নয় বলে ফোন কেটে দেন।

চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।