অন্যদল থেকে আসা নেতাদের সদস্যপদ নবায়ন হবে না আ.লীগে

যারা বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে এসেছেন, তাদের সদস্যপদ নবায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘পরগাছাদের দলে প্রবেশ ঠেকাতে নতুন সদস্য নেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ের নেতাদের হাতে নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বুঝিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

গত ২০ মে গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি বলেন, নানা জায়গায় দল ভারী করতে নেতারা অন্য দল থেকে লোক আনছেন বলে তার কাছে তথ্য আছে। অতীতে যারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনে জড়িত তাদেরও দলে আনা হচ্ছে। এমনটি বরদাশত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন শেখ হাসিনা।

এর পর পর ওবায়দুল কাদের জানান, এখন থেকে অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করাতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন লাগবে। এই অবস্থায় দলের নেতাদেরকে সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে বলেন তিনি। কাদের বলেন, ‘নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনোদের নবায়ন অভিযান যেন বিতর্কিত না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত রোডম্যাপে নির্বাচন কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম না রাখলেও ওবায়দুল কাদের মনে করেন, ‘ইভিএমের দাবি জোরালো ও যৌক্তিক।’ এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে অ্যানালগ থাকতে চাই না—আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জোরালোভাবে এই যুক্তি তুলে ধরব।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএপির বুধবারের ঘোষিত সমাবেশে অনুমতি কেন দেয়া হয়নি-জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘তাদের অনুমিত দেওয়া হবে কীভাবে? কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিমানবন্দরে এক সম্পাদক আরেক সম্পাদককে মেরেছেন। নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ করে তুলেছে। একজন আরেকজনকে সরকারের দালাল বলছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার নেতারা মারামারি করে। কেন্দ্রীয় নেতাদের পালিয়ে ঢাকায় আসতে হয়।’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।