‘অর্থমন্ত্রী জনগণের, না বহুজাতিক কোম্পানির মন্ত্রী?’

অর্থমন্ত্রী দেশের তামাক চাষিদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো (বিটিএ) কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করছেন বলে অভিযোগ রংপুর তামাক চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে প্রশ্ন রাখা হয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত কি জনগণের না বহুজাতিক কোম্পানির অর্থমন্ত্রী।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম ফকির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু অর্থমন্ত্রী ধূমপানমুক্ত করার নামে শুধু বিড়ির শুল্ক বাড়িয়ে সিগারেটের পক্ষে কাজ করবেন সেটা তো হতে পারে না। তিনি জনগণের অর্থমন্ত্রী না বহুজাতিক কোম্পানির অর্থমন্ত্রী?

বাজেটে বিড়ির ওপর আরোপিত বাড়তি কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মাসুম ফকির বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অযৌক্তিকভাবে ১১০ শতাংশ মূল্য বাড়ানো হয়েছে। এতে শত শত বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। অপরদিকে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটে বহুজাতিক কোম্পানির দামি সিগারেটের ওপর কোনো করারোপ করেননি।

বিড়ির ওপর প্রস্তাবিত কর বাজেট থেকে তুলে না নিলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মো. হামিদুল হক বলেন, রংপুর বালিমাটির অঞ্চল হওয়ায় এখানে তামাক ছাড়া তেমন কিছু চাষ হয় না। তাই এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত। ভিন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে বিড়ির ওপর অতিরিক্ত করারোপ করে সরকার এসব মানুষের জীবিকার ওপর সরাসরি আঘাত হেনেছে।

এই কর বাতিল না করলে বৃহত্তর রংপুরের মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। চাষিদের অবিক্রিত তামাক কেনার ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।