অল্পদিনের মধ্যে মাথাপিছু আয় ২০০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী

২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৭০৩ মাকির্ন ডলার। ২০১৮ সালে তা হয়েছে ১ হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলার। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশে জিডিপি বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, খাদ্য উৎপাদন, রেমিটেন্স, মূদ্রাস্ফীতি, আমদানি ও রফতানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে। ২০০৯ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.০৫ শতাংশ। যা বেড়ে ২০১৮ সালে ৭.৮৬ শতাংশ হয়েছে। এ সময় রেমিটেন্স প্রবাহ ৯,৬৮৯.২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৪,৯৮১.৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। বৈদেশিক র্মদ্রার রিজার্ভ ৭,৪৭০.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৩২,৯৪৩.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।

পাশাপাশি ২০০৮ সালে দেশে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬৬.৮ বছর। ২০১৭ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর। দারিদ্র্যতার হার ২০০৯ সালের ৩১.৫ শতাংশ থেকে কমে ২০১৮ সালে হয়েছে ২৪.৩ শতাংশ। অতি দারিদ্র্যের হার ১৭.৬ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১২.৯ শতাংশ। স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য দেশে একটি বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ৮ শতাংশ প্রবৃব্ধি অর্জনের জন্য অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এই ধারাবাহিকতায় অল্পদিনের মধ্যে মাথাপিছু আয় ২০০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে মাথাপিছু আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশন ফিন্যান্সিয়াল রেগুলেটর ট্রেনিং ইনিসিয়েটিভ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ সালে জিডিপি দুই অঙ্কে পৌঁছাবে। অল্পদিনের মধ্যে মাথাপিছু আয় ২০০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ দেশে কোনো দরিদ্র মানুষ থাকবে না।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশ সব শর্ত পূরণ করেছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। এ ১০০টি শিল্পাঞ্চলে বিদেশিদের বিনিয়োগ করার সুযোগ আছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে এক কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন পণ্যের রফতানিও বাড়বে।

শেখ হাসিনা বলেন, ৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত বাংলাদেশ। এ ছাড়া আগামী প্রজন্মের জন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছি। তখন আমরা থাকবো না। তবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পায়। বিশ্বের বুকে তারা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। দেশকে আর যেন কেউ ঘৃণার চোখে দেখতে না পারে। সেই পরিকল্পনায় কাজ করে যাচ্ছি।