অস্ট্রেলিয়ায় ডাকটিকিটে বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনার ছবি

অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া পোস্টের ‘পার্সোনালাইজড স্ট্যাম্প অফার’ প্রকল্পের আওতায় অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়।

শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সিডনিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ এ ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়।

‘পার্সোনালাইজড স্ট্যাম্প অফার’ প্রকল্পের আওতায় ৩৩ অস্ট্রেলিয় ডলার খরচ করে যেকেউ অস্ট্রেলিয়ার ডাকটিকিটে নিজের ছবি ব্যবহার করতে পারে। সেই সুবিধা গ্রহণ করেই আওয়ামী লীগের অস্ট্রেলিয়া শাখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে ডাকটিকিটে ছবি প্রকাশের এই সুবিধা গ্রহণ করে। তবে এজন্য যার ছবি প্রকাশ করা হবে তার অনুমতির প্রয়োজন হয়।

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারে জন্ম নেয়া শেখ হাসিনা সময়ের পরিক্রমায় আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নেতৃত্বগুণে তিনি এখন বিশ্ব নেতাদের অন্যতম একজন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার প্রথম সন্তান শেখ হাসিনার ডাক নাম হাসু। দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দাদা-দাদির কোলে-পিঠে মধুমতি নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায়। তারা পাঁচ ভাইবোন।

অপর চারজন হচ্ছেন শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল। ভাইবোনদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধু এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ তিন ভাই ঘাতকদের হাতে নিহত হন।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তখন পুরান ঢাকার রজনী বোস লেনে ভাড়া বাসায় তারা ওঠেন। বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩ নম্বর মিন্টো রোডের বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন।

শেখ হাসিনাকে ঢাকা শহরে টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়। এখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শেরেবাংলা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে খ্যাত। শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন।

ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ৬-দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।