আজকের প্রেক্ষাপটে মেজর জলিল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক : ন্যাপ মহাসচিব
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বাংলাদেশের আজকের প্রেক্ষাপটে মেজর জলিল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। একসময় যেকোনো দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তর্জনি উঁচিয়ে ‘খামোশ’ বলতেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। স্বাধীনতার স্বপ্নভঙ্গের প্রেক্ষাপটে ‘রুখো’ বলে আধিপত্যবাদের পথ রোধ করে দাঁড়িয়েছিলেন মেজর জলিল।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক স্মরণ মঞ্চ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, সাহসী রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব। মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সাহসী সেক্টর কমান্ডার হিসাবে তার এই অধিকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সরকারের বাস্তবায়ন করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযুদ্ধোত্তর বিরোধীদলীয় স্রোতধারার প্রাণপুরুষ মেজর জলিলকে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে নতুন ধারার বরপুত্র। তিনি ছিলেন এক অসাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতা উত্তর নতুন প্রজন্মের মাঝে নতুন স্বপ্নের জাল বুনতে পেরেছিলেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, মেজর জলিল যখন মৃত্যুবরণ করেন, তখন তার কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। জাতির জন্য উৎসর্গপ্রাণ, প্রশস্ত হৃদয়ের মানুষটি জাতির জন্য রেখে গেলেন একবুক ভালোবাসা। মেজর জলিল সত্যের জন্য, মানুষের জন্য, অন্যায়-অত্যাচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক জ্বলন্ত উপমা। সর্বোপরি স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের অনুপম দৃষ্টান্ত।
স্মরণমঞ্চের সমন্বয়কারী ও এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদের সমন্বয়কারী মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, জাতীয় নারী আন্দোলনের সমন্বয়কারী মিতা রহমান, এনডিপি সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাথি ইসলাম প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন