আজ থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা-বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে শনিবার দিনগত রাত অর্থাৎ ১২টা থেকে ২২ দিন (২৮ অক্টোবর পর্যন্ত) ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। একইসঙ্গে এ সময়ে ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় অন্যান্য সব ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয়ও সরকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী নিষিদ্ধের এ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর নিষিদ্ধের সময় ছিল ১-২২ অক্টোবর।

এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ১ থেকে ২ বছর মেয়াদে জেল বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে শাস্তি দ্বিগুণ হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ৭ হাজার বর্গক্ষেত্রবিশিষ্ট প্রজনক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- মীরসরাই উপজেলার শাহেরখালী হতে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন হতে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া হতে গণ্ডামার পয়েন্ট।

এছাড়াও চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সব নদ-নদীতে এ সময় সকল প্রকার মাছধরা বন্ধ থাকবে।

তবে এর বাইরের অন্যান্য পুকুর-বিল বা হাওর-বাওর ও জলাশয় মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়াও দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাগুলোতে এই ২২ দিন সকল প্রকার মাছধরা বন্ধ থাকবে। এমনকি দেশের সব মাছ ঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় এই ২২ দিন মোবাইল কোর্টসহ অভিযানও পরিচালিত হবে বলে মৎস্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

মৎস্য বিভাগের সঙ্গে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র্যাব, বিজিবি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করবে।

ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময়ে জেলেদের ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) আওতায় চাল দেবে সরকার। এবার ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময়ে ২৯ জেলার ১১২টি উপজেলায় ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭০৯টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে চাল দেবে সরকার।