আজ নিজের বিশ্ববিদ্যালয়েই হাসির পাত্র হলেন জুকারবার্গ

যে সোশ্যাল মিডিয়াই এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কাউকে খোরাক করার জন্য, সেই ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতাকেই কি না নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে মশকরার পাত্র হতে হলো! সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট বলা হয় ফেসবুককে। আর তারই কর্ণধার কিনা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবর্তন দিবসে ভাষণ দিতে এসে হাসির পাত্র হলেন। কিন্তু বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেসব দূরে সরিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে একগাল হাসি নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা শোনালেন মার্ক জুকারবার্গ। কিন্তু মনে মনে হয়তো এই অপমান হজম নাও করতে পারেন জুকারবার্গ।

কী হয়েছিল গতকাল বৃহস্পতিবার? হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান। আর সেই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত ছিলেন প্রাক্তন ছাত্র জুকারবার্গ। পরে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রিও পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সব ঠিকঠাকই ছিল। ঝামেলা বাধল বক্তৃতা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে।

বিশ্ববিদ্যালয়েরই মুখপাত্র হার্ভার্ড ক্রিমসনের ওয়েবসাইটটি হ্যাক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়েরই পড়ুয়াদের সম্পাদনায় ১৪৪ বছর পুরানো এই মুখপাত্র জুকারবার্গকে উদ্দেশ্য করে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করা হয়। ওয়েবসাইটের প্রতিটি প্রতিবেদনে মশকরার লক্ষ্য ছিলেন জুকারবার্গ। কিন্তু অনেকেই বলছেন, এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলো। অন্তত জুকারবার্গের জন্য। কেন? কারণ, ২০০৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রপ আউট ছাত্র জুকারবার্গ বহু পড়ুয়ার ইমেল হ্যাক করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

হার্ভার্ড ক্রিমসনেই খবর প্রকাশিত হয়, ১৩ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার আগে পড়ুয়াদের ইমেল ও কানেক্টউড নামে একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জুকারবার্গ। ওই সংস্থার সঙ্গে ফেসবুকের কোনও আইনি ঝামেলা চলছিল। তাই হার্ভার্ড ক্রিমসনের অবস্থান জানতে জুকারবার্গ পড়ুয়াদের ইমেল হ্যাক করেন বলে অভিযোগ। পরে বিষয়টি মিটমাট হয় বলে খবর।

এদিন ১৩ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেছিলেন জুকারবার্গ। কিন্তু এক যুগ পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার স্মৃতি মোটেই সুখকর হলো না তাঁর।