আতঙ্কে সিরাজগঞ্জবাসী
প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে একের পর এক প্লাবিত হচ্ছে নদী অভ্যন্তরের চরাঞ্চল। ভাঙন দেখা দিয়েছে অরক্ষিত নদী তীর এলাকায়।
এদিকে গত তিন দিন ধরে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি। ডুবতে শুরু করেছে এসব অঞ্চলের বাড়ি-ঘর। বন্যা আতঙ্কে আছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা।
রোববার সকালে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৩.১৫ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমার মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (ডেঞ্জার লেভেল-১৩.৩৫)। গত তিন দিনে এখানে পানি যথাক্রমে ৩০, ৪০ ও ৩৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও কাওয়াকোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভূঁইয়া বলেন, গত কয়েক দিন ধরে পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ইতোমধ্যেই চরাঞ্চলের ফসলি জমিগুলো সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। নিচু বাড়িতে পানি ওঠতে শুরু করেছে।
শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউপি চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁন জানান, এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগাঁতী, আড়কান্দি ও হাটপাচিলে নদী তীরবর্তী এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি ওঠতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চলগুলোতে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৩৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ (১৩.১৫ মিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত তিন দিনে পানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আরও দুই একদিন বাড়তে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন