আন্দোলনরতদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

রোববার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ বলেছে, ‘সড়কে নিরাপত্তাসহ অন্য কোনো বিষয়ে উদ্বিগ্ন হলে তা নিয়ে কথা বলার অধিকার ছাত্র ও তরুণদের রয়েছে।’

এতে বলা হয়, কোনো সহিংসতার হুমকি ছাড়া মতামত জানানোর অধিকারও তাদের আছে। জাতিসংঘ পৃথিবীজুড়েই নিরাপদ সড়কের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে।

‘বাংলাদেশের তরুণদের অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর বাংলাদেশে ২০ হাজার মানুষ হতাহত হয়’ জানায় জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত কয়েকদিন রাজধানীতে বিক্ষোভ আন্দোলনে অংশ নেয়া কয়েকজন তরুণ আহত হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। প্রতিবাদ কর্মসূচির ফলে অনেক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যার কারণে অনেক শিশু শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

‘আমরা সহিংসতার বিভিন্ন খবরে উদ্বিগ্ন এবং সব পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নিরাপদ সড়কের যে দাকি তরুণরা জানিয়েছে তা বৈধ এবং ঢাকার মতো মহানগরে এর সমাধান প্রয়োজন। একটি কার্যকর পরিবহন ব্যবস্থার উচিত শিশু, তরুণী ও নারীসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা’ বলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপো।

শিশু ও তরুণসহ সকলকে রাস্তায় নিরাপদ ও সহিংসতা থেকে বাঁচিয়ে রাখতে জরুরি ভিত্তিতে সব দলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে কুর্মিটোলা হাসপাতালের পাশে ফুটপাতে বাসচাপায় ২৯ জুলাই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। তারা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এরপর ঘাতক জাবালে নূর বাসের চালকের ফাঁসি এবং নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে টানা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করে দেখছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়ে। একাধিক স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।