‘আপনি বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা, আমি আপনার অনুরাগী’
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আপনি বিশ্বের দারুণ এক অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা। আমি আপনার অনুরাগী।’
সোমবার (২২ মার্চ) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি।
পরে সাক্ষাতের বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
তিনি জানান, নেপালের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অভূতপূর্ব অগ্রগতিতে নারীর অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল হতে পারে।
এসময় সহযোগিতা প্রসঙ্গে বিদ্যা দেবী বলেন, ‘আমরা অর্থবহ সহযোগিতা চাই।’
নেপালের প্রেসিডেন্ট সারের প্রয়োজনের সময় বাংলাদেশের তাৎক্ষণিক সহায়তা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি নেপালকে বাংলাদেশের বন্দর সুবিধা এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করার প্রস্তাবের জন্যও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
একই সঙ্গে উভয় দেশই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু’দেশই দুর্যোগ মোকাবিলায় নিজ নিজ সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে।
এর আগে দুইদিনের সরকারি সফরে সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় ২১ বার তোপধ্বনির পর বিমানবন্দরে নেপালের প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদ্যা দেবীর এই সফর। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে এসেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট।
তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে- পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী প্রদীপ কুমার গিয়াওয়ালি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রেসিডেন্টের অফিস ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বিমানবন্দর থেকে নেপালের প্রেসিডেন্ট সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিদ্যা দেবী সেখানে দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং একটি চারাগাছ রোপণ করেন।
পরে তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
বিকেলে নেপালের প্রেসিডেন্ট অতিথি হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান।
রাতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও নৈশভোজের আয়োজনে যোগ দেবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন