ফের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ৯৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ফের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ১৩ দেশের কয়েক ডজন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে ইরানী কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ১৩ দেশের ৯৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞায় দেয়া হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মানবাধিকার-বিষয়ক জাতিসংঘের সর্বজনীন দিবসকে সামনে রেখে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এ ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, যুক্তরাজ্য ও কানাডাকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ইরান, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিরিয়া, উগান্ডা, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, জিম্বাবুয়ে, কঙ্গো, হাইতি, লাইবেরিয়া, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ সুদান ও সুদানের নাগরিকেরা।

এছাড়া নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের দু’জন আফগানিস্তান সরকারের মন্ত্রী। বলা হয়েছে, তারা দেশটিতে মেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ বন্ধ করার মাধ্যমে নারী নিপীড়নে জড়িত। এর আগে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ও চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা আছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সে সময় জানানো হয়, ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে আরও যারা দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত হবে, ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। এ তালিকায় থাকবেন বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট গত বছর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ১৫০ জনের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন সম্পদ জব্দ করা হয় । এছাড়া আমেরিকানরা যারা তাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট লেনদেনে জড়িত, তাদেরও নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ।