আমার দাদার বাড়িতে আ.লীগের জন্ম : সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া কিছুই বুঝি না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছেড়ে কোথাও যাব না।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার দাদার বাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম। তাই আগামীতে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে অবশ্যই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী থাকবে। বন্দরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে যে ভালোবাসে তার প্রমাণ এখানে এসে পেলাম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি এককভাবে মনোনয়ন পেয়েছি। বিএনপি এ আসন থেকে তিনজন প্রার্থীকে মনোয়নয়ন দিয়েছে। এ আসনে আমি কার সঙ্গে লড়ব তা জানি না।

মঙ্গলবার বিকেলে বন্দরের ২৬নং ওয়ার্ডের সোনাচড়াস্থ আওয়ামী লীগ নেতা এমএ রশীদের বাসভবনে বন্দর থানা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেলিম ওসমান বলেন, গত সাড়ে ৪ বছরে বন্দরে আমি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কিছুই দেখি নাই। আমি শুধু দেখেছি কীভাবে বন্দরের উন্নয়ন করা যায়। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে বন্দরের উন্নয়নে কাজ করে গেছি। এলাকার কোনো সমস্যা নিয়ে আমার কাছে গেছেন, আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন, আমি সেটা পালন করি নাই এমনটা কেউ বলতে পারবেন না।

তিনি বলেন, সরকারিভাবে বরাদ্দ না থাকলে আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে সেসব সমস্যা সমাধান করেছি। সব থেকে বেশি সহযোগিতা আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছ থেকে আমি পেয়েছি। ভবিষ্যতেও আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে বন্দরের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। আগামীতে যদি আমি নির্বাচিত না হতে পারি তবুও আপনাদের পাশেই থাকব।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সেলিম ওসমান আক্ষেপ করে বলেন, আপনারা বলছেন বন্দরে আওয়ামী লীগের কার্যালয় নাই। কিন্তু আপনারা কি বন্দর কিংবা শহরে জাতীয় পার্টির কোনো কার্যালয় দেখাতে পারবেন? আপনারা আমাকে জায়গা দেন, আমি আপনাদের জন্য আধুনিক একটি কার্যালয় করে দেয়ার ব্যবস্থা করব।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকা প্রতীকের ব্যাপারে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে প্রায় ১২ জন মনোনয়ন চেয়েছিলেন। আমি নিজেও নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকা প্রতীক চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আমাকে মহাজোট থেকে মনোনীত করেছেন। আর আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়ন দাবি করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ আরজু ভূঁইয়া, শুক্কুর মাহমুদ চাচা উনারা প্রত্যেকে আমাকে ভালোবাসেন। আর ভালোবাসেন বলেই উনারা কেউই জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র কেনেননি। কিন্তু আমি যদি বলি লাঙ্গল কি আমি এনেছি নাকি আপনারা আমাকে আনার সুযোগ করে দিয়েছেন? আপনারা কেন প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, আপা আপনি সেলিম ওসমানকে মনোনয়ন দেন কিন্তু মার্কাটা নৌকা হতে হবে। অথবা আমাকে কেন বললেন না আপনার লাঙ্গলটা আমাদের দিয়ে দেন। আমরা এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করব। তবে আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আগামীতে শুধু এ আসন নয়; নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন হবে।

বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবু জাহের, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন প্রধান, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানা উল্ল্যাহ সানু, মহানগর মহিলা লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর ও ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল প্রধান প্রমুখ।