আমিরাত সরকারের বিশেষ সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক কেরামতউল্লাহ বিপ্লব


সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিশেষ ক্যাটাগরীতে অফিসিয়ালি ‘গোল্ডেন রেসিডেন্সি’ পেয়েছেন বাংলাদেশের সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের মহাসচিব, খ্যাতিমান সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দেশটির সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ এই মর্যাদা দেওয়ার কথা জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিডিয়া কাউন্সিলের তালিকা অনুসারে ‘এক্সপার্ট জার্নালিস্ট’ ক্যাটাগরির মর্যাদায় এ সন্মান এর আগে কোন বাংলাদেশী পাননি। এর আগে ভারত থেকে অভিনেতা ও সুপার স্টার রজনী কান্ত, শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্ত ও টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা আরব আমিরাতের গোল্ডেন রেসিডেন্সি পেয়েছেন।
ইতোপূর্বে বিনিয়োগ, ব্যবসাসহ নানা ক্ষেত্রে বহু প্রবাসী ভারতীয় ও বাংলাদেশী গোল্ডেন রেসিডেন্সি পেয়েছেন। এটাকে গোল্ডেন ভিসাও বলা হয়। এটা আমিরাত সরকারের একটি বিশেষ কর্মসুচি। বাংলাদেশী সাংবাদিক হিসেবে কেরামতউল্লাহ বিপ্লবই প্রথম আমিরাত সরকারের এ ভিসা পেলেন।
এর বাহকরা আলাদা মর্যাদা পান দেশটিতে। অভিবাসী কর্মীদের জীবন প্রবাহ এবং জলবায়ু বিষয়ে কেরামতউল্লাহ বিপ্লবের সাংবাদিকতার বিষয়টিকে অনন্য বিবেচনায় নিয়েছে আমিরাত সরকারের মিডিয়া কাউন্সিল।
বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান পেশাজীবীদের বিশেষ ক্যাটাগরিতে এই সুবিধা দেয়া হয়। গোল্ডেন ভিসা প্রাপ্তরা আমিরাতের নাগরিক না হলেও শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান, বিমানবন্দরে প্রিভিলেজসহ নানা সুবিধা পান।মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উন্নত মানবিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের মহাসচিব কেরামতউল্লাহ বিপ্লব।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের অনুভূতি জানান বাংলাদেশের জলবায়ু সাংবাদিকতার পথিকৃৎ সাংবাদিক কেরামতউল্লাহ বিপ্লব। তিনি জানান, “বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি, আমার ভালোবাসা, আমার ঠিকানা । সবার আগে তার সম্মান। আমি বাংলাদেশী, এটাই আমার গর্ব ।”

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন