আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ নিয়ে তদন্তে নেমেছে ফিফা

নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। ১২০ নিমিতে ৪৮টি ফাউল এবং ১৯টি কার্ডের ফলে বিশ্বকাপে রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে এ ম্যাচটি। ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্তেনিও মাতেউর সমালোচনা করেছেন অনেকে। এরপরই এই ম্যাচ নিয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে ফিফা।

ম্যাচ শেষে মেসি-মার্টিনেজরা স্প্যানিশ রেফারির সমালোচনা করেন। এমন রেফারিংয়ের কারণে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। ম্যাচ শেষে রেফারিকে ধুয়ে দেন তিনি। মেসি বলেছেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই না, বললে শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু আমার মনে হয়, এমন রেফারিকে এই ধরনের ম্যাচে দায়িত্ব দেয়া উচিত না ফিফার। তিনি এর যোগ্যই না।’

এদিকে এমিলিয়ানো মার্টিনেজও সমালোচনা করেছেন অ্যান্তেনিও মাতেউর। মার্টিনেজ বলেন, ‘তিনি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বাজে রেফারি। তিনি খুবই রাগী। তাকে কিছু বললে তিনি খুবই বাজেভাবে এর উত্তর দেন।’

আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের এমন বক্তব্যে নড়েচড়ে বসেছে ফিফা। রেফারির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ করার কারণে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, ফিফার সংবিধানের ১২ (খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের অসদাচরণ) ও ১৬ (ম্যাচের নিরাপত্তাবিষয়ক) নম্বর ধারায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে।

উল্লেখ্য, আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস মধ্যকার ১২০ মিনিটের ম্যাচে অ্যান্টোনিও মাতেউ মোট ১৫টি হলুদ কার্ড দেখান ফুটবলারদের। যার ভেতর আর্জেন্টিনার ৮ ফুটবলার পান ৮টি এবং নেদারল্যান্ডসের ৭ ফুটবলার পান ৭টি হলুদ কার্ড। ম্যাচের মধ্যেই আর্জেন্টাইন কোচিং স্টাফ ওয়াল্টার সামুয়েল এবং কোচ স্ক্যালোনিকে হলুদ কার্ড দেখান তিনি। এ ছাড়া পেনাল্টি শুটআউটের সময় ডামফ্রিস লাল কার্ড দেখেন এবং নোয়া ল্যাংও হলুদ কার্ড দেখেন।