অবশেষে ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদী বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু আবেদন করেন। শুনানি শেষে বরিশালের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম অমিত কুমার দে মামলা খারিজের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ওবায়েদ উল্লাহ সাজু বলেন, শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানোর বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে মূল ছবি দেখে ভুলের অবসান হয়েছে। তাই মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমনকে নাজেহালের দিন বরিশালের আদালতে দায়িত্ব পালন করা ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আগৈলঝাড়ায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। চিত্রাঙ্কনের বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’। সিদ্ধান্ত ছিল ওই প্রতিযোগিতায় আঁকা যে ছবি প্রথম হবে, সেই ছবি স্বাধীনতা দিবসের কার্ডের পেছনে ছাপা হবে। সেটাই করা হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায় বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবি ছাপানোয় মানহানি হয়েছে অভিযোগে গত ৭ জুন আগৈলঝাড়ার তৎকালীন ইউএনও গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। ওই মামলায় গত বুধবার (১৯ জুলাই) বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন গাজী তারিক সালমন।
ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুরের মৌখিক আদেশ দেন। এরপর পরই আদালতে দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই শচিনসহ কয়েকজন সদস্য ইউএনও তারিক সালমনকে হাত ধরে টেনে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যান। ওই সময় তোলা ছবিতে দেখা যায়, এটিএসআই শচিন তার দুই হাত দিয়ে ইউএনও সালমনের ডান হাত ধরে আদালতের গারদখানায় নিয়ে যাচ্ছেন। ছবিতে এটিএসআই শচিনের ডান হাতে হাতকড়ার একাংশ এবং বাকি অংশ তার বাম হাত দিয়ে ইউএনও সালমনের ডান হাতে চেপে ধরা দেখা যায়। তার চারপাশে পুলিশ বেস্টনি দিয়ে তাকে গারদে নিতে দেখা যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন